রাজ্য বিধানসভার সিদ্ধান্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইট করে এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'সংবিধানের ১৭৪ এর ২/এ ধারা প্রয়োগ করে আমি জগদীপ ধনকড়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করছি। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকেই যা কার্যকর হচ্ছে।'
নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত রাখার ঘটনা অতীতে ঘটেনি। ফলে এ দিন রাজ্যপালের ঘোষণার রাজভবন-নবান্ন সংঘাত নয়া মাত্রা পেল।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে এ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জগদীপধনকড়। শুরু থেকেই নানা বিষয়ে মমতা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে ক্রমেই রাজভবন-নবান্ন সংঘাত তীব্র হয়েছে। বিরোধ এতটাই বেড়েছে যে, রাজ্যপালকে টুইটে আনফলো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংবিধান বহির্ভূত কাজের অভিযোগ তুলে অ-আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে সংসদে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনে তৃণমূল।
এসবের মাঝেই শনিবার বিধানসভা 'স্থগিতে'র সিদ্ধান্তের ঘোষণা নিঃসন্দেহে খুূই তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অভূতপূর্ব। কোনও রাজ্যপাল আগে এই ধরণের কাজ করেননি। স্পষ্ট যে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিধানসভা না বসলে রাজ্যের সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। উনি তো চিঠি দিতে পারতেন , কিন্তু তা করলেন না। আসলে রাজ্যপাল চাইছেন রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি হোক।'
ধনকড়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী আদালতের দ্বারস্থ হবে? সৌগতবাবু এপ্রসঙ্গে বলেন, 'যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে পুরোটাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।'
তবে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এ রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, 'রাজ্যাপেলর সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তাই তিনি নিয়েছেন। রাজ্য সরকারের অপশাসন ও ক্রমাগত বিদ্রোহী অবস্থানের কারণে এই পদক্ষেপ করায়া হয়েছে।'