আগামী সপ্তাহের শুরু, সম্ভবত মঙ্গলবারই মমতা মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। সদ্য চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের অন্যতম বর্ষীয়ান ও গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েত দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রেরও কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ। এখনও ফাঁকা রয়েছে দু'টি মন্ত্রী পদ। এই অবস্থায় শ্রীঘ্রই মন্ত্রিসভায় অদলবদল করতে আগ্রহী রাজ্যের শাসক শিবির।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দফতর সামলাতেন তিনি। তাঁর প্রয়াণের পর গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বে কে আসতে পারে? এই নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে, সূত্রের খবর, আপাতত পঞ্চায়েত দফতর নিজের হাতেই রাখতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই সামলাবেন গ্রামোন্নয়নের কাজ।
গত দু'বার খড়দহ থেকে ভোটে লড়ে জিতেছিলেন অমিত মিত্র। তাঁকেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী পদ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার আর ভোটে লড়েননি অমিত মিত্র। তবুও তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের অর্থ দফতর সামলাতে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ। কারণ বিধায়ক না হয়ে ছ'মাসের বেশি মন্ত্রী পদে থাকা যায় না। সূত্রের খবর, আপাতত অর্থ দফতরও নিজের হাতেই রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কোনও যোগ্য ব্যক্তিকে এই পদে বহাল করবেন। অমিত মিত্রকে ওই দফতরের পরামর্শদাতা করা হবে। পাবেন মন্ত্রী পর্যায়ের মর্যাদা।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গুরুত্ব মন্ত্রিসভায় আরও বাড়তে পারে।
ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আগে, নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এবার সামলাচ্ছেন পরবিহণ ও আবাসন দফতর। সূত্রের খবর, বন্দরের তৃণমূল বিধায়ককে ফের নগরোন্নয়ন দফতরে ফিরিয়ে আনতে পারেন মমতা। পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব থেকে ফিরহাদ হাকিমকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
উপনির্বাচনে দিনহাটা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। দেড় লক্ষের বেশি ব্যবধানে জিতে হইচই ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। পুরস্কার হিসাবে রাজ্য মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হতে পারে তাঁর।
এছাড়াও, সাধন পাণ্ডে, শশী পাঁজা ছাড়া উত্তর ও মধ্য কলকাতা থেকে কোনও বিধায়কই মমতা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য মন্ত্রিসভা আসলে দক্ষিণ কলকাতা দ্বারা পরিচালিত। এই অভিযোগ নস্যাৎ করতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এবার রদবদলে রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন উত্তর ও মধ্য কলকাতার কোনও বিধায়ক।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন