রাজ্যে দোলের পরই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে চলেছে। ১৩ এপ্রিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদলীয় বৈঠক। সম্ভবত চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে পুরনির্বাচনের দিনক্ষণ। ইতিমধ্যে পুরনির্বাচনের আগে তৃণমূল ও বিজেপি যুযুধান দু'পক্ষ জনসংযোগের জন্য পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে পদ্মশিবির। যদিই বঙ্গ বিজেপির দাবি, পুরনির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত।
রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর ঘাসফুল শিবির। এর আগে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেই সময় 'চায়ে পে চর্চা' শুরু করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলকে টেক্কা দিতে এবার 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এরই মধ্যে পুরনির্বাচনের উত্তাপে গা গরম করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। দু'পক্ষই প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে প্রার্থী হওয়ার আগেই দু'পক্ষের স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্য়ে তীব্র বিরোধও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নয়া স্বপ্ন গড়তে পুরনো কর্মীতেই ভরসা তৃণমূলের
বিগত বিধানসভার উপনির্বাচনে তিন আসনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এরমধ্যে খড়্গপুর আসনটি ছিল খোদ দলের রাজ্য সভাপতির দখলে। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জেও লোকসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে এগিয়েছিল বিজেপি। তবে উপনির্বাচনে সেখানেও হারতে হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। সম্প্রতি শহিদ মিনারে সভা করে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে বঙ্গ বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "আমরা পুরসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। বাংলায় গণতন্ত্র নেই, রয়েছে স্বৈরতন্ত্র। বাংলার নানা অন্যায় কাহিনী তুলে ধরে চার্জশিট নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে। আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণার পরই আমরা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করব।"
লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয় পেলেও পুরসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবুও দলের অনেকেই প্রার্থী হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন। সে ক্ষেত্রে প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকলে স্থানীয়স্তরে ক্ষোভ বাড়তে পারে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, দলের বিক্ষুব্ধরা প্রার্থী না হলে যাতে তৃণমূলের দিকে পা বাড়াতে না পারেন, সে জন্যই বঙ্গ বিজেপি এই কৌশল নিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন