West Bengal Municipal Elections Live updates: অশান্তি-ভোটলুঠের অভিযোগের মধ্যেই শেষ হল রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে সন্ত্রাস-ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি সন্ত্রাসের অভিযোগ আগামিকাল, সোমবার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। ১২ ঘণ্টার বনধে সকাল থেকেই পথে নামবে বিজেপি। এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছে। ডিজিপি মনোজ মালব্য দাবি করেছেন, কোথাও কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ যেখানেই অভিযোগ পেয়েছে ব্যবস্থা নিয়েছে।
পাল্টা আজকের পুরভোটকে নির্বাচন মানতে নারাজ রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, এটা যুদ্ধ হয়েছে। “আজকের নির্বাচন নিয়ে যা জানতে পেরেছি, তা মারাত্মক। ২০১৮ সাল ও ২০২১ সালে আমরা দেখেছি কীভাবে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার। প্রশাসন একপাক্ষিক হয়ে গেছে। এটা নির্বাচন নয়, যুদ্ধ”, মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।
অশান্তি এড়ানো গেল না পুরভোটেও। রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে রাজ্যের দিকে-দিকে অশান্তির এক ছবি। কোথাও বুথ জ্যাম তো কোথাও পুলিশের সামনেই দেদার ছাপ্পাভোটের অভিযোগ। কোথাও ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেঁদে ভাসালেন বিজেপি প্রার্থী। কোথাও আবার বুথের বাইরে প্রার্থীকে ফেলে মার অন্য প্রার্থীর। মারধরের হাত থেকে বাদ যাননি প্রার্থীর বাবাও। দক্ষিণ দমদমে বাম প্রার্থীর পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বাবাকেও। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। যদিও অভিযোগ উড়িয়েছে শাসকদল।
ভোটের আগেই বজবজ, সাঁইথিয়া, সিউড়ি-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। পুরভোটে হট ফেভারিট হয়েই ময়দানে নেমেছিল তৃণমূল। তবুও এড়ানো গেল না অশান্তি। অধিকাংশ জায়গাতেই শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই ভোট-লুঠ, ছাপ্পাভোটের অভিযোগে সরব হলেন বিরোধীরা।
রাজনৈতিক অশান্তিতে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার নাম। এবার ভোটেও তার অন্যথা হল না। এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোটের অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শেষমেশ পুলিশি ঘেরাটোপে এলাকা ছাড়েন বিজেপি নেতা। নিজের ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী না থাকায় এবার আর ভোটই দেওয়া হয়নি দাপুটে এই রাজনীতিবিদের।
সব মিলিয়ে ভোটের রবিবারে বাংলার দিকে দিকে অশান্তির এক ছবি। একাধিক জায়গায় প্রতিবাদে পতে নেমেছে বিরোদীরা। হুগলি জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতেও ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করেছে বামেরা। অন্যদিকে, প্রতিবাদ দেখাতে এদিন কলকাতাতেও লালবাজার অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। যদিও বিজেপিকে মিছিল শুরুই করতে দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের।
পুরভোটে অশান্তিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। পুলিশের মদতেই তৃণমূল কর্মীদের একটি অংশ ভোটে কার্যত সন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও বিরোধীদের অভিযোগে আমল দিতে চাননি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল বলেন, ”জমায়েত ব অন্য অভিযোগ এলেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। ভিড় সরানো থেকে শুরু গ্রেফতার, সবই করেছে। নিরপেক্ষভাবেই ভোট হচ্ছে।” ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই বিরোধীরা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন বলে দাবি এই তৃণমূল নেতার।
“আজকের নির্বাচন নিয়ে যা জানতে পেরেছি, তা মারাত্মক। ২০১৮ সাল ও ২০২১ সালে আমরা দেখেছি কীভাবে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার। প্রশাসন একপাক্ষিক হয়ে গেছে। এটা নির্বাচন নয়, যুদ্ধ”, মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।
পুরভোট একদম শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। একই সুরে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ডিজিপি মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, ছোট কিছু ঘটনা ছাড়া কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। হাজারের উপর অভিযোগ জমা পড়েছে। ৭৯৭ জনকে প্রিভেনটিভ গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথাও বড় কোনও অশান্তি হয়নি।
বেলাগাম সন্ত্রাস-ভোটলুঠ, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করলেন জগদীপ ধনকড়। টুইট করে জানালেন রাজ্যপাল।
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাজ্যের পুরভোটে সার্বিক ভোট পড়ল ৭৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে পড়েছে ৮৪ শতাংশ। সবচেয়ে কম দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ে ভোট পড়েছে ৫৪ শতাংশ।
পুরভোটে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে লাগামহীন সন্ত্রাস, ভোটলুঠের অভিযোগ। আগামিকাল, সোমবার বাংলা বনধের ডাক বিজেপির। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বনধ পালন করবে বিজেপি, সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

বর্ধমানে পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিজেপি। বর্ধমান শহরে ব্যাপক ভোটলুঠের অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এদিন সদর মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপি কর্মীরা। পুরভোটের প্রার্থীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভের আগে পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি নেতা-কর্মীদের। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকন্ত মজুমদারকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ তৃণমূলের। বালুরঘাটের ৩ নং ওয়ার্ডে উত্তেজনা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, গোটা এলাকায় তৃণমূলের বাইকবাহিনী কর্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
গারুলিয়ায় পুরভোট চলাকালীন সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা। বুথ দখলকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। দু'পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। পুলিশি হস্তক্ষেপে শেষমেশ পরিস্থিত শান্ত হয়।
শান্তিপুরের ১ নং ওয়ার্ডে উত্তেজনা। ১ নং ওয়ার্ডের ৫৯ নং বুথে ছাপ্পাভোট দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের মদতেই চলে ছাপ্পাভোট, অভিযোগ সিপিএম প্রার্থীর। সিপিএম কর্মীদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশি ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ বামেদের। যদিও সিপিমের তোলা সব অভিযোগ উডিয়েছে তৃণমূল।
পুরভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কাঁথি। কাঁথির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৮ নম্বর বুথে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ। ইভিএম ভাঙচুরে একে অপরে বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি ও তৃণমূল। এলাকায় উত্তেজনা, মোতায়েন পুলিশ।
এবার খড়গপুরে প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। খড়গপুর পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের ঘটনা। কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। খড়গপুরের ট্রাফিক হাইস্কুলের বুথের সামনে ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। র্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বুথ ঘিরে বহিরগতরা। বর্ধমান পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ঘটনা। এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুধীরঞ্জন সাউয়ের অভিযোগ, ''বুথের ভিতরে তৃণমূলের দুস্কৃতীরা দাপাদাপি করেছে।'' ৯ নং ওয়ার্ডের শাসকদলের প্রার্থী তৃণমূল নেতা উত্তম সেনগুপ্তের স্ত্রী এবং দলের প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী। বুথে বহিরাগতদের ঢোকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এমন অভিযোগ তাঁরাও পাচ্ছেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।
পুরভোটে অশান্তি দক্ষিণ দমদমেও। দক্ষিণ দমদম পুরভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী তানিয়া ঘোষ ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনেই হামলার অভিযোগ সিপিএম প্রার্থীর।
ভাটপাড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সঞ্জয়-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাংসদের আত্মীয় সঞ্জয় সিং-ও। ইভিএম ভাঙার নিদান দেওয়ার অভিযোগে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুরভোটে দেদার অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সোচ্চার বিজেপি। আরামবাগের মহকুম শাসকের দফতরের সামনে প্রার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের। এলাকায় উত্তেজনা। মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুরভোটে আবারও উত্তপ্ত জঙ্গিপুর। এবার জঙ্গিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলের বুথে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ।
পুরভোটে অশান্তি জঙ্গিপুরেও। জঙ্গিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী জিয়াবুল শেখকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেধড়ক মারধরে জখম সিপিএম নেতা ভর্তি হাসপাতালে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
রিষড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় পাণ্ডেকে মারধরের অভিযোগ। এলাকার তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।
বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ তৃণমূলের। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে বুথে বুথে ঘুরছেন অধীরবাবু। ভোটে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। প্রতিবাদে এদিন অধীর চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল প্রার্থী ও কর্মীরা। অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি বহরমপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, রাস্তা আটকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ভোট লুঠের চেষ্টা করছে তৃণমূল।
বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়ল প্রায় ৩৪ শতাংশবেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়ল প্রায় ৩৪ শতাংশ
যত কাণ্ড ভাটপাড়ায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে এদিন পথে নামেন অর্জুন সিং। তৃণমূল সমর্থকরা তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শেষমেশ পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শুধু তাই নয়, জীবনে এই বোধ হয় প্রথম। খাস নিজের তালুকেই ভোট দিতে পারলেন না দাপুটে এই রাজনীতিবিদ। কারণটা অবশ্য ভিন্ন। ভাটপাড়ার ১৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার অর্জুন সিং। তাঁর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থীই নেই। স্বভাবতই ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ বিজেপি নেতার গলায়। পড়ুন বিস্তারিত
বারাসতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন বুথে সিপিএম প্রার্থীকে মারধর করে বার করে দেওয়ার অভিযোদ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাম প্রার্থী রত্না ভট্টাচার্যের দাবি, বহিরাগত এনে বুথ দখল করছে শাসক দল। যা শুনেই ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন বুথে যান তিনি। এরপরই তৃণমূল প্রার্থীর ভাইয়ের নেতৃত্বে বহিরাগতরা তাঁকে মেরে বুথ থেকে বার করে দেন। পরে অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থীর ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কালনার অম্বিকা মহিষমর্দিনী প্রাথমিক স্কুলে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দরজা বন্ধ করে ভোট চলছিল পুলিশের সামনেই। ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই মুখ ঢেকে পালাল ভুয়ো ভোটার। পুরো ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যদিও তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী কারফা পুরো বিষয়টিকেই অস্বীকার করেছেন।
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপুরে গণ্ডগোল। সিপিএমের অভিযোগ বহিরাগত ঢুকে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারাও সরব।পুলিশের বিরুদ্ধে নিক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ লাঠি চার্জ করে হটিয়ে দেয়।
বসিরহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মন্দিরঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট চলাকালীন বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালান বহিরাগতরা। গন্ডগোল চলাকালীন বিজেপি প্রার্থী ইভিএম ভেঙে দেন। বিজেপির দাবি, মিথ্যা অভিযোগে প্রার্থীকে ফাঁসানো হয়েছে।
ভাটপাড়া পুর এলাকার জগদ্দলের সার্কাস পাড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
টিটাগড় পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক অসুস্থ বৃদ্ধ ভোটারকে কোলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভোটকেন্দ্রে।
Express Video: Joyprakash Das
সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যোমশঙ্কর হাইস্কুলের ১ ও ২ নম্বর বুথে ফের উত্তেজনা। এই বুথে সকালে বহিরাগতদের জমায়েত হতেই এলাকাবাসী তাদের তাড়া করে। ফের বেলা বাড়তে এক বহিরাগত বুথের সামনে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপরই এলাকায় ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কোচবিহারের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আটক ভুয়ো পোলিং এজেন্ট।
বহিরাগতদের বুথ জ্যামে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে টিটাগড়ের ১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। সিপিএম প্রার্থী অরুণ সিংকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।