বাংলা জুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এই বৈঠকের পরই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "১১ নভেম্বর রাজ্য়ের সমস্ত ব্লকে এনআরসি নিয়ে মিছিল হবে। বড় সমাবেশ হবে কলকাতায়।" জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বাংলা-সহ অন্য় সব ভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি করার দাবিও জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, "২ মাস আগেও বাংলা ভাষায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য় আবেদন জানানো হয়েছে।"
এদিন তৃণমূল ভবনে প্রথমে তপশিলি জাতি ও উপজাতি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে এসসি-এসটি ভোট কেন বিজেপিতে চলে গিয়েছে, তৃণমূলের এসসি-এসটি বিধায়কদের কাছে তা জানতে চান ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর এবং সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে শুরু হয় বৈঠক। লোকসভা নির্বাচনে কেন এসসি, এসটি ভোট পেল না তৃণমূল কংগ্রেস, কোথায় কোথায় গলদ ছিল তা সরাসরি জানতে চান প্রশান্ত কিশোর। জানা যাচ্ছে, এই প্রশ্নের মুখে কেউ কেউ উত্তর দিলেও বেশিরভাগ বিধায়কই ছিলেন চুপ। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দিলে পরিস্থিতি কিছুটা হালকা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গল মহল-সহ বিভিন্ন জায়গায় ফল খারাপ হয়েছে তৃণমূলের। তাই যদি কোনও সমস্য়া থেকে থাকে তাহলে তা সমাধান করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। সূত্রের খবর, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে তাঁরা যেন বঞ্চিত না হন। এর পর বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে বিধায়ক ও সাংসদরাও হাজির ছিলেন। এই বৈঠক মিটতেই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, "ওপার থেকে এপারে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা এ দেশেরই নাগরিক। আর কতবার করে নাগরিক হবেন তাঁরা? ১১ নভেম্বর সব ব্লকে এনআরসি বিরোধী মিছিল হবে। কলকাতায় যুবরা সমাবেশ করবে। এনআরসি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। জাতপাতের ভিত্তিতে এনআরসি হবে না।"