পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের ব্যাপক অরাজকতার দরুন রাজ্যে মনোনয়ন পেশের নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী এরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের শেষদিন ছিল ৯ই এপ্রিল। কমিশনের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্ধারিত তারিখ বাড়ানোর দাবিতে বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নিজের অপারগতা জানিয়ে রাজ্য বিজেপিকে কলকাতা হাইকোর্টে যাবার জন্য নির্দেশ দেয়। এই বিষয়ক শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের শাষক দল তৃণমুল কংগ্রেস বিরোধীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দিচ্ছে। হাইকোর্টের একটি প্যানেলের রিপোর্টের ভিত্তিতে কোর্ট আজ নির্বাচনের দিন সংক্রান্ত ঘোষণা করবেন।
জাস্টিস সুব্রত সরকার গত সপ্তাহে আজ অব্দি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ স্থগিত রাখার আদেশ দিয়ে এবিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার আদেশ দেন। এরাজ্যে মোট কতজন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করতে পেরেছেন এবং কতগুলি আবেদন এখনও অবধি বাতিল করা হয়েছে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আজ বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার কথা।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে পিছোল পঞ্চায়েত মামলার শুনানি
গত শুক্রবার তৃণমুল কংগ্রেস হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন জানিয়েছিল তারও শুনানি হবে আজই।
ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী শ্রী সাধন পাণ্ডে জানান, তিনি আশা করেন এবিষয়ে হাইকোর্টের শুনানির রায় তৃণমুল কংগ্রেসের পক্ষেই যাবে। "বাংলার মানুষই আমাদের দলের ক্ষমতার মুল উৎস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এরাজ্যের ব্যাপক উন্নয়নের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরাই জিতব।"
রাজ্য বিজেপি সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষ বলেন, আইনব্যবস্থার ওপর আমাদের আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। "আমাদের পুর্ণ বিশ্বাস মহামান্য হাইকোর্ট এরাজ্যের মানুষের পক্ষেই রায় দেবেন।" নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ছিল ১, ৩ এবং ৫ মে এবং ভোটগণনার তারিখ ছিল ৮ মে। মোট ৫৮,৬৯২ সিটের জন্য এখনও অব্দি মনোনয়ন পেশ করেছেন মোট ১,৫৭,৬৬৫ প্রার্থী। এর মধ্যে তৃণমুলের প্রার্থীর মোট সংখ্যা ৭২, ৮৮৪ জন এবং বিজেপির প্রার্থী সংখ্যা ৩৪, ৫০৭।