শান্তনু চৌধুরী
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রেকর্ড সংখ্যক মুসলিম প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানালেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেন।
২০১৩ সালের বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি মোট ৯০০০ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১০০ জন মুসলিম প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছিল। যে সংখ্যা এবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে উনত্রিশ হাজার দুশ বিরানব্বইয়ে। "অন্তত এক হাজার মুসলিম প্রার্থী বিজেপির পক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করবেন। জেলা পরিষদে মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা মোট পনের জন। আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের তিনশ প্রার্থী সমেত মোট আঠশো'র ও বেশি মুসলিম প্রার্থী ভোটে লড়ছেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে এই সংখ্যা একশ জনেরও বেশী।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতঃ ভোট দিলে স্মার্টফোনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মুকুল রায়, অভিযোগ দায়ের করল তৃণমুল
এর আগে রাজ্য বিজেপি মুসলমান অধ্যূষিত অঞ্চলগুলিতে এবছর রেকর্ড সংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থী দেবার দাবী করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এরাজ্যে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা শতকরা ২৭ ভাগ।এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের মোট চারটি জেলা মুসলিম জেলা প্রমুখ।২০১১ সালের জনগননা অনুযায়ী মালদা জেলায় মুসলিম নাগরিকের সংখ্যা শতকরা ৫১ ভাগ, উত্তর দিনাজপুরে ৪৯ ভাগ, দক্ষিন দিনাজপুরে ৪২ ভাগ এবং কুচবিহারে সংখ্যালঘু মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩১ ভাগ।
হোসেনের দাবী অনুযায়ী, বিজেপি এই নির্বাচনে সর্বাধিক মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে। জেলা পরিষদের মোট পনের জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন উত্তর দিনাজপুরের, চারজন মালদায়, দুজন প্রার্থী পূর্ব মেদিনীপুর এবং একজন করে প্রার্থী নির্বাচন লড়ছেন জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, দক্ষিন দিনাজপুর এবং হুগলি থেকে।এরমধ্যে বিজেপি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জেলা পরিষদ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করেও পরে তা প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট: ১৪ মে নির্বাচন ঘিরে জট, মঙ্গলে ফের শুনানি, হাইকোর্টে ধাক্কা কমিশনের
"এবছর আমাদের রেকর্ড সংখ্যক মুসলিম প্রার্থীর মনোনয়ন আসলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরফ থেকে দলের জন্য একটি শুভ সঙ্কেত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও এখন বুঝতে শিখেছে বিজেপি ভেদাভেদের নয় বরং উন্নয়নের রাজনীতি করে। তাঁরা বুঝেছেন নির্বাচনের অন্য তিনটি দল (তৃণমুল, কংগ্রেস এবং বাম ফ্রন্ট) দীর্ঘদিন রাজ্যে শাষন করেও তাঁদের কোন লাভ হয়নি। দেশে বিজেপি শাষিত রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবনযাপনের মান এরাজ্যের চাইতে তুলনামূলক ভাবে অনেক ভাল। তাঁরা ঐ রাজ্যগুলিতে যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গেই জীবনযাপন করছেন," বললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, "এই সংখ্যালঘু প্রার্থীদের অধিকাংশই ভোটে জয়লাভ করবেন। সংখ্যালঘুরা অবশেষে বুঝতে পেরেছেন আমাদের দল তাঁদের বিরোধী নন। তাঁরা বুঝেছেন একমাত্র বিজেপিই তাঁদের সম্প্রদায়ের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন করতে পারবে।"