পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র দাখিল ঘিরে রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এবার এ নিয়ে আইনি হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের দুই বিরোধী দল বিজেপি ও কংগ্রেস। মনোনয়নপত্র দাখিল সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি অবাধ পঞ্চায়েত ভোট করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। অশান্তি এড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট করার দাবিতেও সরব বিজেপি ও কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত ভোটে ঢাকে কাঠি পড়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে অশান্তি ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। শাসক-বিরোধী গোলমালে উত্তপ্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে এই অশান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে কমিশনের। একে অপরকে পাল্টা দোষারোপ করতে ময়দানে নেমেছে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী ঐশ্বর্য ভাতি সুপ্রিম কোর্টকে জানান যে, তৃণমূলের ক্যাডাররা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে যে রাজ্যে রোজ অশান্তি হচ্ছে, তাও দেশের শীর্ষ আদালতে জানান তিনি। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
আগামিকাল এবিষয়ে বিস্তারিত শুনবেন বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ।
বিজেপির তরফে আরও অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহকারী পঞ্চায়েত নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা যেসমস্ত ব্লক কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছেন, তাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে অস্বীকার করছেন এবং শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থীদেরই মনোনয়ন জমা নেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীদের পরিবারকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। যে হারে রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়, তাও আলোকপাত করেছে গেরুয়াশিবির।
অন্যদিকে রাজ্যে অবাধ পঞ্চায়েত ভোটের জন্য যখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ঠিক একই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। শান্তিপূর্ণ ভোট করতে বিজেপি-র মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুর।