ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে অশান্ত হয়েছিল গোটা রাজ্য। ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। বন্ধের দিন বারাসতের পীরগাছা এলাকায় তৃণমূল নেতার দিকে অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি মহিলা কর্মীর গায়ে হাত তোলার। ঘটনার পাঁচ দিন পর বারাসতের স্থানীয় আদালতে অভিযোগ জানালেন নিগৃহীতা। চিকিৎসার জন্য ৪৮ বছরের নীলিমা দে সরকারকে আপাতত নীল রতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নীলিমা দেবীর স্বামী প্রসাদ চন্দ্র দে সরকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, "আমার স্ত্রী কে যখন লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছিল, পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল। ওঁর হাতে, পায়ে, মাথায় গুরুতর আঘাত হয়েছে। একটা কেউ বাঁচাতে আসেনি। আমরা জানি পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেবে না, তাই সরাসরি আদালতে এসেছি।
আরও পড়ুন, বনধের শহরে বাসে আগুন লাগানোর দায়ে ধৃত ব্যক্তি বিজেপি মিছিলে
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নীলিমা দেবি।
২৬ তারিখ কলকাতা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে টাকি রোডের ওপর লেভেল ক্রসিং-এর কাছে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিজেপি সমর্থকেরা সেদিন জমায়েত হয়ে এক মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় মিছিল করার অনুমতি নেই তাদের। "আমার স্ত্রী ছাড়াও প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য নামের আরেক বিজেপি নেতাও উপস্থিত ছিলেন, ওঁকেও পুলিশের সামনেই মারা হয়েছিল", জানিয়েছেন নীলিমা দে সরকারের স্বামী। ঘটনা নিয়ে মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর কথাও ভাবা হয়েছে ইতিমধ্যে।
"বাংলা জুড়েই এই এক ঘটনা চলছে। পুলিশ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এমন টা আশাও করি না। যদিও এসপি-র কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ একটা দায়ের করা হয়েছে, এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছেও জানানো হয়েছে বিস্তারিত ঘটনা", সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দু'বার আক্রান্ত হন বিজেপির ওই মহিলা কর্মী। প্রথম বার বিক্ষোভ চলা কালীন পুলিশের উপস্থিতিতে, এবং দ্বিতীয় বার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ঘটনার বিবরণ দেওয়ার সময়।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া, "বিক্ষোভকারীরা রেল লাইন অবরোধ করে দাঁড়িয়ে ছিল। পুলিশ নিষেধ করায় প্রথমে মুখে মুখে তর্ক হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আইন নিজের পথেই চলবে"।