গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে শুরু বিধানসভা নির্বাচন। আজ প্রথম দফার ভোট পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ৫৮ কেন্দ্রে। রাজ্যের ১১ জেলার এই ৫৮ কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী দলগুলির ৬২৩ জন প্রার্থী লড়াইয়ের ময়দানে। নির্বাচনের এই প্রথম পর্বে ২ কোটি ২৭ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছেন। এদিন সকালে উত্তর প্রদেশের ভোটারদের গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এবার সাত দফায়। আজ প্রথম দফায় রাজ্যের পশ্চিমে জাঠ অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেই ভোট। বিজেপির কাছে উত্তর প্রদেশের এই প্রথম দফার নির্বাচন বড়সড় একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, এই কেন্দ্রগুলিতে জাঠ সম্প্রদায়ের বসবাস বেশি। এই সম্প্রদায়ের লোকজনই গত বছর দিল্লিতে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
সেই কারণেই ১১ জেলার এই ৫৮ কেন্দ্রে এবার অলআউট ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, মোদী সরকারের বাতিল হওয়া তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই জেলাগুলির মানুষজনের চরম ক্ষোভকে কাজে লাগাতে চেষ্টার কসুর ছিল না বিরোধীদেরও। আগাগোড়া প্রচারে কেন্দ্রকে বিঁধে ঝড় তুলেছিলেন বিরোধী নেতারা। বিরোধী দলগুলির আশা, কৃষি আইন বাতিল হলেও কেন্দ্র বিরোধী একটানা আন্দোলনের প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সেও।
উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর প্রদেশের এই প্রথম দফার ভোটে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের নয় মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। নির্বাচীন লড়াইয়ে রয়েছেন বিদায়ী যোগী সরকারের মন্ত্রী সুরেশ রানা, অতুল গর্গ, শ্রীকান্ত শর্মা, সন্দীপ সিং, অনিল শর্মা, কপিল দেব আগরওয়াল, দীনেশ খটিক, ডাঃ জি এস ধর্মেশ এবং চৌধুরী লক্ষ্মী নারাইন। উত্তর প্রদেশে ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। মোট সাত দফায় ভোট হবে রাজ্যে। আগামী ৭ মার্চ রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন। ভোটের ফল গণনা হবে আগামী ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন- বিতর্কিত কৃষি আইনের হয়ে গলা ফাটিয়ে ধন্দ তৈরি করলেন মোদী
এদিকে, উত্তর প্রদেশের ভোটারদের গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন সকালে টুইটে মোদী লিখেছেন, ''উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। আমি সব ভোটারদের কোভিডের নিয়ম মেনে গণতন্ত্রের এই পবিত্র উৎসবে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। মনে রাখবেন - আগে ভোট দিন, তারপর জলখাবার!''
বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় উত্তর প্রদেশের শামলি, হাপুর, গৌতম বুদ্ধ নগর, মুজাফফরনগর, মিরাট, বাগপত, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, আলিগড়, মথুরা এবং আগ্রা জেলায় নির্বাচন হচ্ছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজেপি এই ১১ জেলার ৫৮টি আসনের মধ্যে ৫৩টিতেই জিতেছিল। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি দুটি করে আসনে জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে, একটি আসন পেয়েছিল আরএলডি।
Read story in English