দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ পেয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। ওই পদ থেকে সরতে হয়েছে রাহুল সিনহাকে। দলের সর্বভারতীয় কমিটি ঘোষণার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। এদিন তাঁরই জবাব দিলেন নব্য কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তাছাড়া সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিলেন, তাঁর করোনা হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কী ধরনের আচরণ করবেন। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অনুপম হাজরা।
রবিবার করোনা প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন একদা ঘাসফুলের সাংসদ। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন, "আমাদের দলের কার্যকর্তারা করোনার থেকে বড় শত্রুর সঙ্গে লড়ছে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মাস্ক ছাড়াই লড়ছে, তাই করোনাকে আমরা আর গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমি ঠিক করেছি আমার যদি কখনও করোনা হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে ধরব।"
কেন এই কান্ড করবেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। অনুপম বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে একটু বেশিই ভালোবেসেছেন করোনার সময়। মানুষের লাশ যেভাবে পুড়িয়েছেন, আমাদের বাড়ির কুকুর-বিড়ালকেও পোড়ানো হয় না। কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়েছেন। ছেলের মৃত্যু হয়েছে বাবাকে মুখ দেখতে দেওয়া হয়নি। ভাইয়ের দেহ নেওয়ার জন্য ১২-১৩ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। তিনি রাজ্যবাসীকে কাঁদিয়েছেন। তৃণমূলকে সমুলে উৎখাত করাই মূল লক্ষ্য। প্রয়োজনে আঙুল বাঁকাতে হবে।"
শনিবার দলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছিলেন রাহুল সিনহা। তাঁর পদ চলে যাওয়ায় বলেছেন, "৪০ বছরের রাজনীতির জীবনে এটাই পুরস্কার।" এই প্রসঙ্গেও জবাব দিয়েছেন অনুপম। রাহুল সিনহা 'আপসেট' বলে মন্তব্য করেন নতুন কেন্দ্রীয় সম্পাদক। অনুপম হাজরা বলেন, "রাহুলদার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমার ভাল। তাছাড়া আমি তো পদ দেওয়ার মালিক নই। আমি নিজের পদ করে নিলাম, কাউকে সরিয়ে দিলাম। এমন তো নয়। তাহলে আমার ওপর রাগ, ক্ষোভ হতে পারে। সিদ্ধান্ত নেন সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজি বা দলের অন্য শীর্ষ নেতৃত্ব। রাহুলদা মানসিকভাবে হয়তো 'আপসেট' আছেন। যেহেতু ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল, একটা চায়ের আড্ডায় বসলে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন