প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ও বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি এরই পাশাপাশি শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পের উপর চড়ে বসে গেরুয়া দল আবারও মধ্যপ্রদেশে একটি স্বস্তির জয়ের দিকে এগোচ্ছে। আজ সকাল ১১.৫৭ মিনিট পর্যন্ত ভোটের ফলের ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে বিজেপি রাজস্থান, ছত্তীশগড়েও কংগ্রেসকে নাস্তানাবুদ করতে পারে। মোটের উপর তেলেঙ্গনা বাদ দিলে বাকি সব রাজ্যেই গেরুয়া ঝড়।
মধ্যপ্রদেশে তথাকথিত অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর একটা ছিল। তবে তা বোধ হয় স্থায়ী হচ্ছে না। ফের একবার মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ঐতিহাসিক জয় সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গুজরাটর পর মধ্যপ্রদেশে আবারও ক্লিক করে গেল বিজেপি এবং আরএসএস-এর সমঝোতার রাজনীতি। ক্রমেই এরাজ্যও হিন্দুত্বের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে উঠছে।
সকাল ১১.৫৭ পর্যন্ত হিসেব ধরলে ২৩০ আসমনের মধ্যপ্রদেশে ১৫৭টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দৌড়চ্ছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত এগিয়ে ৭০টি আসনে।
বিজেপি নেতাদের মতে, এবার বিধানসভা ভোটের আগে দলের কাছে বড়সড় ধাক্কা এসেছিল। এক প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন, "এটি প্রায় একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো ছিল। তবে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি এবং সংগঠিত করার ক্ষমতা সাফল্য এনে দিয়েছে।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে মধ্যপ্রদেশে ভোটের প্রচারে এবার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রাজ্যে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত প্রচারে জোর দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- Assembly Elections Results 2023 Live: তিন রাজ্যে মোদী ম্যাজিক! তেলেঙ্গানাই ভরসা কংগ্রেসের
এবার মধ্যপ্রদেশে দলে নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব শিবরাজ সিং চৌহানের বদলে কেন্দ্রীয় নেতাদেরই সামলাতে দেখা গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুর চড়া হচ্ছিল। তবে বিজেপিও কোমর বেঁধে তৈরি ছিল। রাজ্য সরকারের একাধিক স্কিম বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে যে প্রকল্পগুলি জনপ্রিয় ছিল, সেগুলিকেই হাতিয়ার করে প্রচারে জোর দেয় গেরুয়া দল।
এক প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহে আমরা আমাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং মাইক্রো-ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছি। যাতে এই নির্বাচনের জন্য কার্যকর্তাদের একজোট করে মাঠে নামানো যায়। লড়াই করা যায়। কংগ্রেসের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া যায়।"