৪ দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে এসে দ্বিতীয় দিনে আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ৪৫০ জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় ফালাকাটায়। নবদম্পতিদের হাতে উপহার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানেই সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভা ভোটে এখানে ৮টি আসনের মধ্যে একটিও পায়নি তৃণমূল। এরমধ্যে নিজেদের জমি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। চা বাগান শ্রমিকদের জন্য বাজেটে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের বরাদ্দের কথা শুনিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়র যোগাযোগ ও মেরামতির জন্য বরাদ্দ হয়েছে। যাকে অবশ্য ‘ভাঁওতা’ বলেই দাবি মমতার। চা বাগান শিল্পের উন্নতি নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
এক নজরে ফালাকাটয় মমতার বক্তব্য-
* ‘রাজবংশী, কামতাপুরী ভাষা আকাদেমি করেছি। নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন, গোর্খা ব্যাটেলিয়ন করেছি। ৬৪ ফরেস্ট ভিলেজকে স্বীকৃতি দিয়েছি। ২৮২ টাবাগানের শ্রমিকেরা বাড়ি দেব। ঘোষণা করে ক্ষান্ত হই, এমন নয়। কাজটা করি। মালদাতে সাবস্টেশন করলাম। করতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। প্রেসিডেন্সির তৃতীয় ক্য়াম্পাস তৈরি হচ্ছে। কার্শিয়াংয়ে তৈরি হচ্ছে সেটি। মংপু এবং ডাউহিলে এডুকেশন হাব তৈরি হচ্ছে।’
* ‘চা সুন্দরী প্রকল্পের আওতায় ৪,৬০০ চা শ্রমিকের হাতে বাড়ির অ্যালটমেন্ট লেটার তুলে দিচ্ছি। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করব। ৫০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। আগের বছর বাজেটে ঘোষণা হয়েছে, আজ অ্যালটমেন্ট লেটার দেওয়া হল। দিল্লি বারবার বলবে ভোট আসলেই চা বাগান খুলে দেব, তারপর ওরা পালিয়ে যায়।’
* ‘ অদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিন, বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চানন বর্মা, হঁরিচাদ ঠাকুরের জন্মদিবসেও ছুটি দেওয়া হয়েছে। ৫২ হাজারের বেশি পড়ুয়ার জন্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে। কামতাপুরী ও রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ফলাকাটার মতো ময়নাগুড়িতে আলাদা মিউনিসিপ্যালটি তৈরি হবে। ‘
* ‘কৃষক বিরোধী কোনও কাজ আমরা কোনও দিনকরব না। বিজেপি কোনও কাজ করে না, শুধু মিথ্যা কথা বলে। উত্তরবঙ্গে এতোগুলি আসন জিতে কী করেছে। কোনও কিছু করেনি। চা বাগান খোলার বিষয়ে কিছু করেনি। কিন্তু আমরা ৯টি চা বাগান খুলেছি।’
বক্তব্যের শেষে বিয়ের অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের সঙ্গে নাচে মাতেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন