বিজেপির দুই সাংসদের রাজ্য ভাগের দাবি নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। একদিকে উত্তরবঙ্গ নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। তারপরেই জঙ্গলমহল বা রাঢ়বঙ্গের দাবি নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দুই সাংসদের দাবি নিয়ে বিজেপি, তৃণমূলের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে চরমে। আসরে নেমে পড়েছে সিপিএম, কংগ্রেসও। যদিও বিজেপি সাংসদদের রাজ্য বিভাজন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে বিভাজনের নীতিতে বিশ্বাসী নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ভিএইচপি।
অনেক বিজেপি নেতারই হাতেখড়ি হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। আরএসএস থেকে এসে অনেকেই বিজেপির বড় দায়িত্ব নিয়েছেন। সাংসদদের দাবি প্রসঙ্গে সংঘের পক্ষে অজয় নন্দী বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে যে আলোচনাই হোক না কেন সেটা সংসদ সাপেক্ষ। বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হতেই পারে। তার জন্য কে কী বললেন, তার ওপর ভিত্তি করে কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যে যাঁর নিজস্ব জায়গায় আছেন। সেই জায়গার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের বক্তব্য রাখছেন। সেটাই তো সতঃসিদ্ধ নয়। সংসদ স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়ে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।"
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: ‘বঙ্গভঙ্গ’র অস্বস্তি ধামাচাপা দিতে ‘বঞ্চনা’ই হাতিয়ার দিলীপের
বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিজেপির দুই সাংসদের দাবি রাজ্য বিজেপি সমর্থন করেনি। তবে যে কারণে দাবি উঠেছে তা সমর্থন করেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। অজয় নন্দী বলেন, "যদি কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে রাজ্য ভাগ করা দরকার আছে সেটা তাদের ব্যাপার। এটা আলোচনা সাপেক্ষ। কে কী বলছে তা নিয়ে আমরা ভাবছিই না।"
আরএসএসের মতো বিশ্ব হিন্দু পরিষদও রাজ্য ভাগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহসম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "এ ব্যাপারে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। তবে আমরা কোনও বিভাজন চাই না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন