'ওয়ার্ম আপ' চলছে। শুধু বাঁশি বাজার অপেক্ষা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায়। সোমবার নজরুল মঞ্চে নির্বাচনের আগে বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে তাই দলনেত্রীর কড়া মেজাজের সামনে পড়তে হল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও। মন্ত্রী থেকে সাংসদ, প্রায় সবার উদ্দেশেই ধেয়ে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীক্ষ্ণ বাক্যবাণ। মঞ্চে পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে রেহাই পাননি খোদ তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। মমতার সরাসরি প্রশ্ন, "আপনারা কি ভয় পেয়ে যাচ্ছেন? না দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন?"
আরও পড়ুন: মোদী-শাহর দোষ নয়, আমাদের দোষ: মমতা
নজরুল মঞ্চে তখন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছেন। মঞ্চে দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক সুব্রত বক্সী, যুব সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। হঠাৎ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "রাত ১২টা-১টায় কীভাবে ওরা বাইক মিছিল করল পার্থদা? তাড়া করে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হয়, আপনারা জানেন না? না কি ভয় পেয়ে যাচ্ছেন না দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন? সরাসরি বলুন...।"
বেহালার বাইক মিছিলের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "কী করছিলেন আপনারা? অভিজিৎ (মেয়র পারিষদ অভিজিত মুখোপাধ্যায়), অশোকা (১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোকা মন্ডল), শুভাশিস (রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিষ চক্রবর্তী) বেহালায় যাঁরা ছিলন, তাঁরা দেখেন নি? এলাকা দেখো না তোমরা? রাত্রি ১২টা-১টায় কীভাবে ওরা বাইক মিছিল করল পার্থদা (দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়)? কী করছিলেন আপনারা?" এভাবেই এদিন একের পর এক 'অস্বস্তিকর' প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন দলনেত্রী। সভাস্থলে তখন পিন পতনের স্তব্ধতা।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলার কথা মোদী আগেই জানতেন: মমতা
এদিনের বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, "তান্ডব করতে বেরিয়েছিল রাত্রি ১টার সময়। বাইক মিছিল করে যারা তান্ডব করে, তারা ডাকাত গুন্ডা। তাদের তাড়া করতে হয়, পুলিশের হাতে ধরিয়েও দিতে হয়। এগুলো আপনারা জানেন না? ভয় পাচ্ছেন, না দুর্বল হচ্ছেন? সরাসরি বলুন। আলোচনা হয়ে যাক খোলাখুলি। বাঁদিকে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না!" এরপরই মঞ্চের সামনের অংশ থেকে শোনা যায়, "না...না...না"।