রাজ্যে ৮ দফার বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এই ৮ দফা ভোটের ঘোষণা নিয়েও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপান-উতর চলছে। ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের এই দফা বৃদ্ধির জন্য বিজেপি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে দায়ী করছে। এদিকে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জের ঢঙে জানিয়ে দিলেন, "দল এখানে ক্ষমতায় এলে এক দফায় ভোট করাবে।"
ভোটের দফা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্নমত পোষণ করছে। এই রাজ্যে ভোটের দফা যেন ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বাম আমলেও বিরোধীরা দাবি করত নিজের ভোট যেন ভোটাররা নিজেই দিতে পারে, তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরও একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিজেপি একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছে বারে বারে।
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজয়ে লড়াই এবার কাঁটায় কাঁটায়, কী কৌশল যুযুধান বিজেপি-তৃণমূলের?
আরও পড়ুন- গুদামে ঢুকে বিজেপির রথে ভাঙচুর, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন সব্যসাচীর
শনিবার বালুরঘাটে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ভোটের দফা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিজেপির কি বাড়তি সুবিধা হল? এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ভোটের দফা নিয়ে সুবিধা হয় না। তবে অসুবিধা কম হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম বেশি দফায় ভোট করুন। যাতে সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক করা যায়। লোকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারে। সেটাই করেছেন ওনারা।" তাঁর দাবি, "লোকসভা ভোটে শুধু পশ্চিমবাংলায় গন্ডগোল হয়েছে। আমার মনে হয় এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক হিংসা সব কিছু বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে আট দফা ভোটের তেমন কোনও নজির নেই। বরং এক বা দু-তিন দফায় ভোটের নজির রয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এলে একদফায় ভোট হওয়া সম্ভব। এটা একটা প্রেস্টিজের ব্যাপার। এটা আমাদের করতেই হবে।" দিলীপবাবুর দাবি, "পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অর্ধেক জওয়ান তো নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পাহারা দিচ্ছেন। থানায় পুলিশ পাওয়া যায় না। এই যে অসুরক্ষার পরিবেশ, সবাই অসুরক্ষিত মনে করছে নিজেকে। এই পরিবেশ থেকে বের করতে পারে বিজেপি। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। রাজ্যে কর্পোরেশন ও পুরসভার ভোট পর্যন্ত করা হয়নি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন