অরাজনৈতিক কর্মসূচি, দল থেকে দূরে থাকা। এবার প্রশাসনিক পদ ও মন্ত্রীসভা থেকেও ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এবার কী পদক্ষেপ করবেন? শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, মন্ত্রীত্ব, সরকারি পদ, নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে আপাতত তিনি চাপমুক্ত হয়েছেন। নিজেকে অনেক হালকা মনে করছেন। জানা গিয়েছে, পদত্যাগপত্র আগে থেকে লিখে রাখা ছিল। 'সেন্ড' করা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই বলেছিলেন রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে। অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কোনও রাজনৈতিক ঘোষণা তিনি করবেন না সেকথা একাধিকবার জানিয়েছেন শুভেন্দু। এমনকী সরকারি পদে থেকেও তিনি কিছু বলবেন না তাও জানিয়ে ছিলেন। এবার সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন ঘোষণার পথ পরিস্কার করলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ইতিমধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দুর বিজেপি যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরে কান পাতলে তাম্রলিপ্ত কংগ্রেস গঠনের কথাও শোনা যাচ্ছিল। তবে এখনও কিন্তু বিধায়ক বা দলের সদস্যপদ ছাড়েননি শুভেন্দু।
কাজ করতে চাইলে পদের প্রয়োজন হয় না। একথা আগেই বলেছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু। শুক্রবার ছাড়লেন মন্ত্রীত্ব ও নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর ঘোষণায় উত্তাল বংলার রাজনীতি। তাঁর মন্ত্রীত্বের পদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনটে দফতর ছিল শুভেন্দুর হাতে। কয়েকটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের দায়িত্বেও রয়েছেন শুভেন্দু। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় নন্দীগ্রামের বিধায়ক একাধিকবার বলেছেন, তিনি সেই সমবায় সমিতিগুলিতে সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত। তিনি নমিনেটেড বা সিলেক্টেড নন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, শুভেন্দু আগে থেকেই তাঁর নানা বক্তব্যের মাধ্যমে বার্তা দিয়ে আসছেন। একদিকে যেমন পদ নিয়ে তিনি লালায়িত নয় সেকথা জানান দিয়েছেন, পাশাপাশি সমবায় সমিতির পদে তিনি যে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি সেকথাও বারে বারে বলেছেন। এবার তাঁর রাজনৈতিক ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দাদার অনুগামীরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন