/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/Minister-Senthil-Balaji.jpg)
ধৃত মন্ত্রী
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করল তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎমন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে। বুধবার সকালে তামিলনাড়ুর পরিবহণ বিভাগে নগদ কেলেঙ্কারির এক মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বালাজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই কেলেঙ্কারি বালাজির আমলে ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেন্থিল বালাজি ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত এআইএডিএমকে শাসনকালে তামিলনাড়ুর পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন।
গ্রেফতারের পর বালাজি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পাশাপাশি, বুকে অস্বস্তি হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সেই কারণে তাঁকে চেন্নাইয়ের একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে মেডিক্যাল চেকআপ। তামিলনাড়ুর যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া উন্নয়নমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম সুব্রহ্মণ্যম, পূর্ত ও জনকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ইভি ভেলু, আইনমন্ত্রী এস রেগুপাখি-সহ ডিএমকের প্রবীণ মন্ত্রীরা হাসপাতালে বালাজির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ধৃত মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
তার মধ্যেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন অভিযোগ করেন যে, ইডির উদ্দেশ্য হল বালাজির ওপর অত্যাচার চালানো। এপ্রসঙ্গে স্ট্যালিন টুইট করেন, 'সেন্থিল বালাজি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তারপরও তাঁকে নির্যাতন করেছেন ইডির আধিকারিকরা। যার জেরে তিনি বুকে ব্যথা পান।' স্ট্যালিন বলেন, 'এই মামলার আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে এমন অমানবিক আচরণ করা কি ইডি-র খুব প্রয়োজন? ডিএমকে বিজেপির হুমকিতে ভয় পাবে না। ২০২৪ সালে মানুষ বিজেপিকে শিক্ষা দেবে।'
গত ২৭ মে, আয়কর (আইটি) বিভাগের আধিকারিকরা চেন্নাই এবং কোয়েম্বাটুরজুড়ে ডিএমকে মন্ত্রী সেন্থিল বালাজি এবং তাঁর সহযোগীদের ৪০টি সম্পত্তির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের সেন্থিল বালাজির সমর্থকদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল। সরকারি যানবাহনে হামলা চালানো হয়েছিল। কিছু জায়গায় তল্লাশিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- মণিপুরে কেন্দ্রের শান্তি কমিটি, এড়াচ্ছেন উপজাতি নেতারা, কিন্তু কেন?
সেন্থিল বালাজির নির্বাচনী কেন্দ্র কারুরে প্রায় ২০০ ডিএমকে সমর্থক আইটি আধিকারিকদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যা বুঝিয়ে দেয় যে সেন্থিল বালাজি বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম তামিলনাড়ুতে তাঁর রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। ওবিসি গাউন্ডার সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।