২২ জানুয়ারী দীপাবলি উদযাপন করার জন্য ১৪০ কোটি ভারতীয়কে অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী মোদীর। পাশাপাশি মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, 'গোটা বিশ্ব ২২ শে জানুয়ারির ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছে। রাম নগরীতে রেল স্টেশন, বিমান বন্দরের উদ্বোধনের কিছুসময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় ভাষণ দেন।
ভাষণে মোদী বলেন, 'আজ অযোধ্যার জন্য একটি বিশেষ দিন'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'আজ মনে হল যেন পুরো অযোধ্যা শহর রাস্তায় নেমে এসেছে। এই ভালবাসা এবং স্নেহের জন্য অযোধ্যাবাসীকে অনেক ধন্যবাদ'। তিনি বলেন, 'অযোধ্যার রাস্তায় মানুষের আগ্রহ দেখে আমি খুশি'।
আরও পড়ুন- অযোধ্যায় রামলালার পাশে থাকছেন না দেবী সীতা! কেন?
পাশাপাশি মোদী বলেন, '৩০ ডিসেম্বর খুব বিশেষ একটি দিন, কারণ ১৯৪৩ সালের এই দিনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্দামানে পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার জীবনাদর্শের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "আজ গোটা বিশ্ব ২২ শে জানুয়ারির ঐতিহাসিক মুহূর্তটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এমন পরিস্থিতিতে অযোধ্যার মানুষের মধ্যে চরম উদ্দীপনা থাকা স্বাভাবিক"।
২২শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন। প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ অযোধ্যায় পৌঁছেছেন, নবনির্মিত মহর্ষি বাল্মিকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অযোধ্যায় একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, 'গোটা বিশ্ব ২২ শে জানুয়ারির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তিনি আরও বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়দের ২২ শে জানুয়ারীকে আলোর উত্সব দীপাবলি হিসাবে উদযাপন করা উচিত। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শহরের মধ্য দিয়ে একটি মেগা রোড শো করে সংস্কার করা রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন- ‘মোদীর গ্যারান্টিতে এত শক্তি কেন?’, অযোধ্যাকে সাক্ষী রেখে জবাব প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা'। তার আগেই আজ অযোধ্যা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শঙ্খধ্বনির মধ্যে আজ সকাল অযোধ্যায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প রাজ্যবাসীকে আজ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অযোধ্যায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পুনর্নির্মিত রেলস্টেশনসহ অন্যান্য একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মোদী।
পাশাপাশি দুটি অমৃত ভারত এবং ছটি নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের শুভ সূচনা হয় মোদীর হাত ধরেই। প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় চারটি নতুন পুনর্নির্মিত, প্রশস্ত এবং সৌন্দর্যমন্ডিত রাস্তা-রামপথ, ভক্তিপথ, ধরমপথ এবং শ্রী রাম জন্মভূমি পথের উদ্বোধন করেন। অযোধ্যায় পৌঁছেই এক রোড শো'য়ে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘রাম রাজ্য’ আসলে কী? গান্ধীজির ব্যাখ্যা তুলে ধরে ২০১৪-য় অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন মোদী
১৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের প্রথম পর্বের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বিমানবন্দের টার্মিনালটি সাড়ে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রতি বছর ১০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, "অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ে ১৪৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের পরিধি ৬৫০০ বর্গমিটর। বছরে প্রায় ১০ লাখ যাত্রী বিমান বন্দরে চলাচল করতে পারবেন।"
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, 'আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি হাজার বছর ধরে প্রতীক্ষিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃঢ় সংকল্পে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। অযোধ্যার মানচিত্র বিশ্বমঞ্চে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এখানে রেল ও বিমানবন্দরের সুবিধা নিয়ে এসেছেন। ভারতের অমৃত কালের এই প্রজন্ম অর্থনৈতিক নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হচ্ছে। আজ ভারত বিশ্ব মঞ্চে আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দেশের মানুষ শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করে'।