দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে এগোচ্ছে দিন। সেই সময়ই বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বাভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গাড়িতে উঠলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এগিয়ে গেল গাড়ি। কোথায় চললেন শাসক দলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই নেতা? মুখে কুলুপ আশপাশের প্রত্যেকের। তাহলে কী কলকাতার পথেই কেষ্ট? গাড়ি ক্রমশ এগোতেই জবাব স্পষ্ট। হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। রয়েছেন চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে। এদিকে, রক্ষাকবচের আর্জি খারিজের পর বুধবারই অনুব্রত মণ্ডলকে কয়লা পাচারকাণ্ডে তলব করেছে সিবিআই। গুঞ্জন যে, ওই তলবের প্রেক্ষিতে হাজিরা দিতেই কলকাতামুখী জোড়া-ফুলে সবচেয়ে আলোচিত জেলা সভাপতি। যদিও তাঁর হাজিরা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি।
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে এর আগে চারবার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। উল্টে রক্ষাকবচ চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। তবে, বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ এবং তারও পরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অনব্রতর আবেদন খারিজ করে দেয়।
এরপরই সক্রিয় হয় সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পঞ্চমবারের জন্য তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে আগামী ৬ এপ্রিল তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তলবের দিনই অবশ্য বগটুইকাণ্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাজে তিনি খুশি বলে জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে বহু চর্চা চলেছে।
এরই মধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছেন অনুব্রত মণ্ডল। দলের একাংশের মতে, বুধবার সকাল ১১টায় সিবিআই-য়ের কাছে হাজিরা দেবেন তিনি। অন্যদিকে কেউ কেউ আবার বলছেন, তৃণমূলের কার্য সমিতির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল, পাশাপাশি রয়েছেন আসানসোল উপনির্বাচনের দায়িত্বেও। এক্ষেত্রে দলীয় প্রয়োজনেও কলকাতায় আসতে পারেন তিনি। আবার কারোর মতে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও মহানগরে আসতে পারেন তিনি। তবে, ধোঁয়াশা দূর হবে বুধাবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে।