Advertisment

তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, তারপরও কেন ব্রিজভূষণের পক্ষে বিজেপি?

এমনকী, দাউদ-যোগের অভিযোগও আছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Brij Bhushan Sharan Singh

ব্রিজভূষণ শরণ সিং

কুস্তিগিরদের যৌন শোষণ ও হয়রানির অভিযোগে কায়সারগঞ্জের সাংসদ এবং ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজেপির ওপর চাপ বাড়ছে। চাপ অবশ্য চার মাস ধরেই আছে। কিন্তু, গেরুয়া শিবির কোনও সময়ই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে অগ্রসর হতে চায় না।

Advertisment

১৯৯১ সালে প্রথমবারের মত লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। বছর ৬৬-র এই কুস্তিগির ও তাঁর স্ত্রী প্রায় তখন থেকেই উত্তরপ্রদেশের সাংসদ ছিলেন। ১৯৯৬ সালে, দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে একটি টাডা মামলায় অভিযুক্ত হয় ব্রিজভূষণ। এরপর তাঁকে টিকিট দিতে চায়নি বিজেপি। বদলে তাঁর স্ত্রী কেকতিদেবী সিংকে গোন্ডা থেকে প্রার্থী করে। আর, তিনি জয়ী হন। ১৯৯৮ সালে ব্রিজভূষণ গোন্ডা থেকে সমাজবাদী পার্টির কীর্তিবর্ধন সিং-এর কাছে হেরে যান। যা এক বিরল ঘটনা।

নির্বাচনে তাঁর চিত্তাকর্ষক প্রভাব ছাড়াও ব্রিজভূষণ সিং তাঁর দ্বারা পরিচালিত প্রায় ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি শৃঙ্খলের মাধ্যমে যেন বেঁধে রেখেছেন। যা নির্বাচনে তাঁর হয়ে প্রভাব বিস্তার করে। এই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অযোধ্যা থেকে শ্রাবস্তী পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। শুধু তিনিই নন, তাঁর আত্মীয়রাও এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আর, বিজেপির স্থানীয় সূত্র বলছে যে ব্রিজভূষণ সিং-এর ভোটযন্ত্র প্রায় সম্পূর্ণভাবে এই গোটা সেটআপ দ্বারা পরিচালিত হয়। যা, দলের বাইরে থেকেই নিজের মত করে কাজ করে। আর, তার জোরেই জেতেন ব্রিজভূষণ।

আরও পড়ুন- জম্মুতে জঙ্গিহানা, কীভাবে উপত্যকায় ফের ঘনাচ্ছে সন্ত্রাসের মেঘ?

সেটা দলকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রিজভূষণ। ২০০৯ সালে বিজেপির হাল যখন খারাপ, ব্রিজভূষণ সমাজবাদী পার্টিতে চলে গিয়েছিলেন। আর, কায়সারগঞ্জ থেকে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত জয়ী হন। কেন্দ্রে ২০০৯ সালের নির্বাচনে ইউপিএ জিতেছিল। তার শরিক ছিল সমাজবাদী পার্টি। সিং ২০০৮ সালের জুলাইয়ে পরমাণু চুক্তি বিতর্কের সময় সমাজবাদী পার্টিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি বিজেপি সাংসদ ছিলেন।

bjp Lok Sabha Brij Bhushan Sharan Singh
Advertisment