"বিগত পাঁচ বছরে মোদী সরকারের জমানায় মানুষ এত ভয় পেয়ে আছেন, কেউ আর ফোনে কথা বলেন না, ল্যান্ডলাইন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন," এমনটাই মত কংগ্রেস নেতা এবং রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের। মুম্বইয়ে আয়োজিত 'এক্সপ্রেস আড্ডায়' শচীন পাইলট বললেন, আসন্ন নির্বাচনে আসল চ্যালেঞ্জ হল রাজনীতিতে ভয়, সন্ত্রাস এবং নেতিবাচক দিকগুলোর মোকাবিলা করা।
"প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে নির্বাচন হয়, এবং প্রতিটি দল বলে আমরাই শ্রেষ্ঠ। আমরা এমন অনেক কিছুই করেছি, যা রাজনীতির অংশ ছিল না, সূক্ষ্ম লাইনটা আমরা পার করে ফেলছি বারবার। আজকাল সবাই হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন। মোবাইলে কল করেন না কেউ। কেন? হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ল্যান্ডলাইনে কথা বললে আড়ি পাতা যায় না। মানুষ আসলে এতটাই ভয় পেয়ে আছেন। সরকার এরকম এক পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমরা চাইছি, এই পরিবেশ যেন পরবর্তী পাঁচ বছর না থাকে। আমাদের কাছে মমতা ব্যানার্জি আছেন, মায়াবতী আছেন। এদের সবার নিজের দলের আলাদা স্বার্থও রয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থের জন্য একসাথে কাজ করার কথা ভাবছি আমরা।"
আরও পড়ুন, কাশ্মীরি ফল বিক্রেতাদের নিগ্রহকারীরা ‘বিপথগামী’, বললেন মোদী
রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "সরকারের নীতিকে প্রশ্ন করা হলেই গায়ে সরকার-বিরোধীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শেষ দু'বছরে তাই-ই হয়েছে।" তাঁর কথায়, "রাজীব গান্ধীর সরকারে ৪০০-র বেশি আসন ছিল কংগ্রেসের। সেই সময় কেউ বিরোধীদের শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবেন নি। এখন আপনারা শুনছেন, বিজেপি কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের কথা বলছে।"
"বালাকোট নিয়ে আমাদের বায়ুসেনা যা বলছে, আমি বিশ্বাস করি, সরকার যা বলছে, তাও বিশ্বাস করি, কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিক নেতারা যা বলছেন, তা গুজব, সে সবের সত্যতা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন রয়েছে," বলেন শচীন পাইলট। বিরোধীদের মহাজোটে আস্থা রেখে তিনি বলেন, "২০১৯-এর নির্বাচনে ভারত একটা নতুন সরকার পাবে, একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে।" নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই ঘোষণা করা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম, জানালেন কংগ্রেস নেতা।
Read the full story in English