কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর একাধিক প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৩৫০ কোটির বেশি নগদ। এত বিপূল পরিমাণ টাকা দেখে চোখ কপালে আয়কর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদেরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলমারিতে ঠাসা নোটের ছবি ভাইরাল। তা নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদীও এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে কোনঠাসা করেছেন।
রবিবার গণনা শেষ হওয়ার পর আয়কর আধিকারিকরা জানিয়েছেন মোট ৩৫৩ কোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টিতে কংগ্রেস সাংসদের জড়িত থাকার বিষয়ে এটি একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হয়েছে। আয়কর বিভাগ বুধবার থেকে শাহু’র একের পর এক আস্তানায় তল্লাশি চালায়। গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকরা ভেবেছিলেন গণনা এক বা দুই দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিন্তু টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে তা সম্ভব হয় নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য বিরোধী নেতাদের কাছ থেকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ প্রসাদ সাহুর একাধিক প্রাঙ্গণ থেকে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন। ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের এক সভায় অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন 'কেন বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে 'ইন্ডিয়া' জোটের সদস্যরা এই বিষয়ে নীরব'। শাহ বলেন, "আমি খুব অবাক হচ্ছি। স্বাধীনতার পরীই প্রথম একজন সাংসদের বাড়ি থেকে এত বড় অঙ্কের নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু এই দুর্নীতি নিয়ে গোটা ইণ্ডিয়া জোট নীরব। আমি বুঝতে পারছি কংগ্রেস নীরব কারণ দুর্নীতি তাদের শিকড়ে। কিন্তু জেডিইউ, আরজেডি, ডিএমকে এবং এসপি সবাই কেন নীরব"?
পাশাপাশি অমিত শাহ এদিন বিরোধীদের একহাত নিয়ে বলেন, "এখন আমি বুঝতে পারছি কেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়েছিল যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এটি চালানো হয়েছিল কারণ তাদের মনে ভয় ছিল যে তাদের দুর্নীতির সমস্ত রহস্য ফাঁস হবে যাবে"। যদিও কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সাহুর থেকে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করেছে, তার ব্যবসায়িক লেনদেনের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে দল। শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদী সরকারের লড়াই আগামী দিনেও অন্যাহত থাকবে'।