মণিপুরে সন্ত্রাস থামার লক্ষ্মণ নেই। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কোনও সরকারি শান্তি কমিটিতে থাকতে চাইছে না কুকি জনগোষ্ঠীর নেতারা। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি কমিটি তৈরি করেছে। মণিপুরে যার নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
সোমবার পালটা বেসরকারি শান্তি কমিটি এক বার্তা দিয়েছে। সেই বার্তায় কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এবং কুকি ইনপি মণিপুর (কেআইএম), জোমি কাউন্সিল এবং আদিবাসী নেতাদের মঞ্চ (আইটিএলএফ)-এর মত বিভিন্ন উপজাতি সংগঠন রয়েছে। তারা জানিয়েছে, 'সিএসওএস (সুশীল সমাজের সংগঠন), উপজাতি সংস্থা এবং ব্যক্তিরা শান্তি কমিটিতে অংশগ্রহণ করবে না।'
এই ব্যাপারে উপজাতি কমিটিগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমরা আন্তরিকভাবে শান্তি চেয়েছিলাম। কিন্তু, শোষণ, নিপীড়ন, হিংসা এখন পার্বত্য মণিপুরে অব্যাহত আছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির কথা বলাটা নিরর্থক। এই হিংসার প্রধান অপরাধী এন বীরেন সিং। তাঁকে শান্তি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা জোমি, কুকি, হামার এবং মিজো সম্প্রদায়ের অপমান।'
উপজাতি সংগঠন কিমের সভাপতি আজং খংসাই বলেন, 'আমরা শান্তি চাই। শান্তি কে না চায়? কিন্তু হিংসা যদি চলতেই থাকে, তাহলে লাভ কী? হিংসার হাত থেকে সাধারণ মানুষ তো বটেই। এমনকী, মন্ত্রী এবং বিধায়করাও রেহাই পাননি। তাই, আমার মত একজন মানুষ কীভাবে এই শান্তি বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারে?'
আরও পড়ুন- অগ্নিগর্ভ মণিপুরে রক্তবন্যা, মেইতেই-কুকি জনজাতির সংঘর্ষে ৯ জন নিহত
পাইট ট্রাইব কাউন্সিলের সভাপতি কে সুয়ানথাং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে ১৭মে আইজলে অনুষ্ঠিত কুকি-জো বিধায়ক, উপজাতি নেতা এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের মধ্যে বৈঠক হবে। সেখানে গৃহীত সিদ্ধান্তের পাশে উপজাতি সম্প্রদায় দাঁড়াবে। সুয়ানথাং জানিয়েছেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুকিদের জন্য আলাদা প্রশাসনের দাবি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি, মণিপুর প্রশাসনের সঙ্গে কোনও শান্তি আলোচনা চালানো হবে না। জো-কুকি সম্প্রদায়ের নেতারাও অভিযোগ করেছেন যে শান্তি কমিটি গঠনের আগে তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। তাই তাঁরাও শান্তি কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না।