New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/mamata-1.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
'বাংলায় কেন নতুন বিনিয়োগ নেই? যখন কোনও সমঝোতাই বাস্তবে বিনিয়োগে রূপান্তরিত হচ্ছে না তখন বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের কী অর্থ?'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, করোনা-আমফান মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার। সেই সঙ্গেই ২০২১ বিধানসভা ভোটে বাংলায় লগ্নি না আসাকেও তুলে ধরতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের টুইট সহ সাম্প্রতিককালে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কথাতেই তা স্পষ্ট। এ ক্ষেত্রে পদ্ম শিবির নিশানা করছে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের 'ঢক্কানিনাদ'কেও।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ও দলের তরফে বাংলা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কয়েক দিন আগেই টুইটে লেখেন, 'বাংলায় কেন নতুন বিনিয়োগ নেই? যখন কোনও সমঝোতা বাস্তবে বিনিয়োগে রূপান্তরিত হচ্ছে না তখন বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের কী অর্থ? এর থেকে কারা বা কে উপকৃত? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব প্রশ্নের জবাব দিক।'
অন্যদিকে বাণিজ্যকে সম্মেলন নিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। বিগত পাঁচটা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে ধনকড় লিখেছেন, 'বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এখনও পর্যন্ত প্রস্তাবিত লগ্নির পরিমাণ ১২.৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। এবার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তার বিস্তারিত জানান। কোন কোনও সংস্থা বা উদ্যোগপতি লগ্নি করেছেন বা করছেন, তাদের নাম জানান।'
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, 'যে পরিমান অর্থ সম্মেলন করতে খরচ হয় তা থেকে কম বিনিয়োগ এ রাজ্যে এসেছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলায় উল্লেখযোগ্য কোন বিনিয়োগ হয়নি। বান আমলে বহু কলকারাখানা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু কেন এমন হল? কেন বিনিয়োগ এ রাজ্যে আকৃষ্ট হল না? ভোটের প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা এই প্রশ্ন তুলবো।'
তাঁর সংযোজন, 'তৃণমূলের আন্দোলনেই রাজ্য ছেড়ে টাটারা চলে গিয়েছে। ২০০৮ সালে সেই ঘটনার পর থেকে বাংলায় আর কোনও বড় বিনিয়োগকারী আসেননি। ক্ষমতায় এসেও তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। গোটা শিল্পনীতিটাই ভুলে ভরা। তাই অর্থনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে।'
যদিও পষ্চিমবঙ্গে গত ১০ বছরের শিল্পায়ণ নিয়ে বিজেপির তোলা অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক তৃণমূল। ঘাস-ফুল শিবিরের এক নেতার কথায়, 'বাম আমলেশিল্পায়ণের সব পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ফের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে তিনি ঘুরে ঘুরে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর বিজেপি সহ বিরোধী শিবির ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে।' উল্লেখ্য বাংলায় বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ড গিয়েছেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন