বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। তবে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংগঠনিক পদ পাননি একসময়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি এখন বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান।
পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার পর মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজ করার জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা। গত ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীর যোগদানের দিন ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মুকুল রায়। তিনিও নাকি চেয়েছিলেন শুভেন্দু বিজেপিতে আসুক। মুকুল রায়ের বক্তব্য ছিল, তৃণমূলে সম্মান পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখনও কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস অফিসিয়ালি কোনও দায়িত্ব দেয়নি কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ককে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live 11 July 2021: করোনা-বিধিকে ডোন্ট কেয়ার, পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে ধৃত ৩৭
তৃণমূল ভবনে মুকুলের যোগদানের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ও-তো বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি… বলে থেমে গিয়েছিলেন। তবে তৃণমূলের কোন পদে থেকে কাজ করবেন তা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করেননি। রাজনৈতিক মহল ধরে নিয়েছিল মুকুল রায়কে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হবে। একসময় তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেক্ষেত্রে সহসভাপতি বা ওই পর্যায়ের কোনও পদে বসানোর সম্ভাবনাই বেশি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অন্যদিকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ৬৪ পাতার তথ্যপ্রমাণ বিধানসভার স্পিকারকে জমা দিয়েছেন বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন।
কেন তিনি বিজেপি ছেড়েছেন এই প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে বলেছিলেন, লিখিত আকারে বিবৃতি দিয়ে তিনি পরে জানিয়ে দেবেন। দল ছাড়ার পর সেই লিখিত বিবৃতি এখনও দেখা যায়নি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল বলেছিলেন, তৃণমূলের ১০০-এর ওপর বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এবারও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও হাওয়ায় ভেসে বেরাচ্ছে বিজেপি বিধায়কদের কেউ কেউ তাঁর মাধ্যমে তৃণমূলে যোগাযোগ করছেন। রাজনীতিতে জল্পনা চলবেই। তবে ইতিমধ্যেই তাঁর অনুগামীদের অনেকেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দল ভাঙানোই যেন এখন রাজনীতির বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন