Bihar Politics: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০২২ সালের আগস্টে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন। তখন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর দল জনতা দল (ইউনাইটেড) কে 'বিভক্ত এবং শেষ' করার চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি পক্ষ পরিবর্তন করেন এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করেন। পাশাপাশি প্রচার করেন যে, একজন সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকে তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিন মাস পরে, নীতীশ বলেছিলেন যে বিহারের ডেপুটি সিএম আরজেডির তেজস্বী প্রসাদ যাদব ২০২৫ সালে তাঁদের মহাগঠবন্ধনের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু, দেখা গেল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই, নীতীশ এবং তেজস্বী পাটনায় প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি অনুষ্ঠানে দূরত্ব বজায় রাখলেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ফের তাঁর বর্তমান মিত্রদের ছেড়ে যেতে চাইছেন। আর, পক্ষ পরিবর্তন করতে চাইছেন। আর, এনিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইতিহাসই প্রমাণ, আওরঙ্গজেব এই মন্দির ভেঙেছিলেন, সামনে এল বিরাট সত্য!
২০২০ সালের নির্বাচনে বিধানসভায় তাঁর দলের বিধায়ক সংখ্যা ৭১ থেকে কমে ৪৩ হতেই নীতীশ কুমার বিজেপির ওপর চটে গিয়েছিলেন। কারণ, তাঁর দলের আসন কমলেও বিজেপির আসন সংখ্যা ৫৩ থেকে বেড়ে ৭৪ হয়েছিল। যা ছিল, আরজেডির পরেই। আরজেডির আসন সংখ্যা ৭৫। তাঁর দলের সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়, নীতীশ বিজেপির পাশাপাশি লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র নেতা চিরাগ পাসওয়ানের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, নীতীশের দলের ভোট কাটাতে চিরাগ বিজেপির প্রক্সি হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও এলজেপি মাত্র একটি আসনে জিতেছে। তবুও তা, ভোট ভাগাভাগির হিসেবে নীতীশকে রীতিমতো ডুবিয়ে দিয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ ছিল জেডিইউয়ের।
আরও পড়ুন- মন্দির ভেঙে তারই অংশ দিয়ে হয়েছে মসজিদ, রিপোর্টে আর কী জানাল এএসআই?
নীতীশ সেই সময় তাঁর ডেপুটি সিএম রেণু দেবী এবং তারকিশোর প্রসাদের সম্পর্কে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি বলেই জানা গিয়েছিল। একইভাবে সুশীলকুমার মোদীর সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল খারাপ। সুশীল মোদী ১৩ বছর ধরে নীতীশের ডেপুটি ছিলেন। অথচ, জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের দিন থেকে নীতীশ কুমার আর সুশীল মোদীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি, জেডি(ইউ) অভিযোগ করেছিল, তৎকালীন জেডি(ইউ) নেতা আরসিপি সিংকে ব্যবহার করে জেডি(ইউ)-কে ভাগ করতে চাইছে বিজেপি। আরসিপি সিং সেই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।