নিজের দলের মুসলমান নেতা-মন্ত্রীদের নাম বদলে দিচ্ছেন না কেন? বিরোধীরা কেউ নয়, বিজেপি-র দিকে এ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে যোগী মন্ত্রিসভার এক সদস্য।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির রাজনৈতিক সঙ্গী সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির প্রেসিডেন্ট ওম প্রকাশ রাজভর রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যও বটে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার নাম বদলানোর যে হিড়িক পড়েছে, তাতে যে তিনি ও তাঁর দল বেজায় ক্ষুব্ধ, সে কথা বিন্দুমাত্র গোপন করেননি তিনি। রাজভর বলেছেন, শাসক দল সবার আগে তাদের তিন মুসলমান নেতার নাম বদলাক। কোন তিনজন, সে কথাও বলতে কুণ্ঠা বোধ না করেই রাজভর নাম নিয়েছেন বিজেপি জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্য মহসিন রাজা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির নাম।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ এবং ফৈজাবাদের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা রাখা হয়েছে। এর পরেই রাজভরের এই বিবৃত সামনে এসেছে। গত বছর উত্তরপ্রদেশের মুঘলসরাই স্টেশনে নাম বদলে দীন দয়াল উপাধ্যায় স্টেশন রাখা হয়। এদিকে বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম শুক্রবার দাবি তুলেছেন মুজফফরনগর জেলার নাম বদলে লক্ষ্মীনগর রাখতে হবে।
শনিবার রাজভর এক সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে এরা কেবলই দলিত, গরিব, পিছিয়ে থাকা মানুষদের ভুল বুঝিয়ে চলেছে যাতে তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হতে পারে... যাতে তারা ছেলেমেয়েদের পড়াশুনো বা চাকরিবাকরির কথা না ভাবতে পারে। মানুষের নজর বদলানোর ব্যাপারে এদের বহুরকম চক্রান্ত রয়েছে। এরা শুধু নাম বদলে চলেছে।’’
রাজভর আরও বলেছেন, ‘‘তোমরা যখন নামই বদলাচ্ছ, তাহলে তোমাদের সঙ্গের লোকদের নাম বদলাচ্ছ না কেন? মোহসিন রাজা, শাহনওয়াজ হুসেন, মুখতার আব্বাস নকভির নাম বদলাও। সেটা করার পর এদিকে নজর দাও। এসব শুধু নৌটঙ্কি।’’
এর উত্তরে বিজেপি মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘কিছু রাজনেতিক নেতা আছেন, যাঁরা সংবাদ শিরোনামে তাকার জন্য এ ধরনের গিমিক দিয়ে থাকেন। রাজভর তেমনই একজন নেতা। খুব সম্প্রতি তিনি বলেছেন আসন্ন ভোটে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে লড়বেন তিনি। এ তেকেই বোঝা যাচ্ছে উনি কী ধরনের রাজনৈতিক নেতা...’’
Read the Full Story in English