পেগাসাস ইস্যুতে সুর চড়াচ্ছে বিরোধী শিবির। জোটবদ্ধবাবে মোদী সরকারকে আক্রমণেরও রণনীতি স্থির করা হয়েছে। বুবার দুপুরেই বসেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী ১৪ দলের বৈঠক। এরপরই রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে তোপ দেগে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেছিলেন যে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের ফোনে একটি অস্ত্র ঢুকিয়েছেন। দেশের বিরোধী নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে ওই অস্ত্র।" এর কয়েক মিনিট বাদেই পাল্টা হুঙ্কার ছাড়ে গেরুয়া বাহিনী। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত মহাপাত্র সাফ জানান, "কেন কেউ রাহুল গান্ধীর ফোনে আড়ি পাতবে? যিনি কংগ্রেস দল চালাতে ব্যর্থ তাঁর ফোনে আড়ি পেতে কী লাভ?"
সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্বিত মহাপাত্র বলেছেন, "রাহুল বলেছেন প্রধানমন্ত্রীজি ওনার মোবাইলে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও উনি পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি, সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুলেছেন। যে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ তাঁর মোবাইলে কেন কেউ আড়ি পাতবে? ওঁর ফোনে আড়ি পেতে কী লাভ? রাহুলজি আপনি আপনার মোবাইটি পরীক্ষা করান।"
কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদদের চঁচামিচিতে কার্যত অচল সংসদের আলোচনা। এর জন্য ভারতের সর্বপ্রাচীন দলের দায়িত্বজ্ঞানহীন মানসিকতাকেই দায়ি করেন সম্বিত। তাঁর কতায়, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী কোভিড সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে আলোচনার জন্য আব্হান জানিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস সহ বিরোধিরা সেই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না। কোভিডের থেকেই ভুয়ো পেগাসা ইস্যুতে আলোচনা রাহুল গান্ধীর কাছে বড় বিষয়। আপনি মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন। আপনি মানুষের কণ্ঠরোধ করছেন।'
বিরোধী নেতৃত্ব যখ কেবল নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতেই ব্যস্ত, তখন মোদী দেশের উন্নয়নে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি মুখপাত্রের। তিনি বলেন, "বিরোধিরা কি চায়? গান্ধী পরিবার রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পেতে চায়। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ব্যস্ত সকলে। আর মোদীজি উন্নয়ের শিখরে ভারতে পৌঁছে দিচ্ছে। বিরোধী জোট যে আসলে একটা নাটক- সেটা দেশবাসী ভালোই বোঝেন।"
মোদী সরকারকে নিসানা করতে এদিন বিরোধী দলগুলোর সংসদীয় দের বৈঠক বসে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিতার্জুন খাড়গের আহ্ববানেষ হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধী। বৈঠক সে,ে রাহুল বলেছেন, " সংসদে আমাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আমরা শুধু জানতে চাইছি, সত্যিই পেগাসাগ কেনা হয়েছিল কি না এবং তা ভারতীয়দের উপর নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না। এই বিষয়টি নিয়ে কি সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত নয়? সংসদ অচল নিয়ে বিজেপি যাই বলুক এটা আমাদের কর্তব্য। আমরা আলোচনার দাবি তেকে সরবো না।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন