Islampur Deaths: দাড়িভিট কান্ডের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা বাংলা বন্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ। জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় শিলিগুড়িতেই এখনো পর্যন্ত ১০০ জন বন্ধ সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। শিলিগুড়িতে বনধ সফল করতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সমর্থকদের। অপরদিকে প্রকাশ্যেই বিজেপি কর্মীদের মারধর করতে দেখা গিয়েছে শিলিগুড়ির বিতর্কিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রঞ্জনশীল শর্মাকে। এক বিজেপি কর্মীকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে বনধের সমর্থনে শিলিগুড়িতে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
আজ সারাদিন উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ
বন্ধের সমর্থনে সকাল থেকেই পথে নামেন বিজেপি সমর্থকেরা। সকাল ৬টা নাগাদ প্রধাননগর এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় একজনকে গ্রেফতার করে প্রধাননগর থানার পুলিশ। এরপরই কয়েকজন বিজেপি সমর্থক হেড পোষ্ট অফিস বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। সকাল ৯টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থানার অধীন অম্বিকানগরের মাইকেল এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘটনাস্থলে ভাঙচুর করা হয় ১১টি বাইক ও স্কুটি। অভিযোগ, এরপরেই তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় অবস্থিত বিজেপির পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দেয়। খবর পেয়েই কমব্যাট ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় এনজেপি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু'পক্ষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এই ঘটনা মিটতে না মিটতেই ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এদিন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোগোমালি বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই বিজেপি সমর্থককে বেধড়ক মারধর করেন। একজনের মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও।
পুলিশের সামনেই হাতাহাতি শিলিগুড়িতে #banglabandh pic.twitter.com/4krd17pmsv
— IE Bangla (@ieBangla) September 26, 2018
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হাসমিচকের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন জেলা বিজেপি সমর্থকেরা। হিলকার্ট রোড ধরে মিছিল যেতেই শুরু হয় বিজেপির হুঙ্কার। যে দু-একটা দোকান খোলা ছিল, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।অন্যদিকে মিছিল থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। ঘটনাস্থল থেকে একজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেইসময় পুলিশের গাড়ির সামনেই বসে পড়েন বিজেপি সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে ডাকা হয় র্যাফ। তুলে দেওয়া হয় বিজেপি সমর্থকদের। ফের মিছিল শুরু হয়। সেবক রোড ঘুরে মিছিল গিয়ে শেষ হয় হাসমিচকে।
এরপর হাসমিচকেই বসে পড়েন বিজেপি সমর্থকেরা। তাঁদের সঙ্গে আবার ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি’র জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে। ওই ঘটনা চলাকালীন বর্ধমান রোডে সরকারী বাসে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তাঁদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। অম্বিকানগর এলাকায় বুলডোজার দিয়ে
অন্যদিকে কোচবিহারেও অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি সরকারী বাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও ঝামেলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে বনধ সমর্থকেরা ইসলামপুরে বেশ কয়েকটি সরকারী গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে ব্যপক উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।