মঙ্গল-বুধ, আগামী দু'দিন দেশ জুড়ে ধর্মঘট ডেকেছে ব্যাঙ্ক এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলো। বন্ধের দিনগুলোতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বাম ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন সিটু পালটা জানিয়েছে রাজ্য সরকার বন্ধ অসফল করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
নানা কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে ৮ এবং ৯ জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। সংগঠনের মূল দাবি ন্যূনতম সাধারণ মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা, শ্রমিকদের বেতন এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানো এবং সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ।
আরও পড়ুন, সপ্তাহে দ্বিতীয় বার ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, শামিল ১০ লক্ষ
সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখার্জি বন্ধ প্রসঙ্গে রবিবার জানিয়েছেন, বন্ধ অসফল করার চেষ্টা করা হলে রাস্তায় নামবেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, "রাজ্য সরকার বুঝেছে এবার বন্ধ সফল হতে চলেছে, তাই অসফল করতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে। তৃণমূল কখনও মানুষের পক্ষে কথা বলেনি। এবার বন্ধ হবেই"।
সিটু সচিব অনাদি সাহু বলেছেন, তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন ওই দু'দিনের পরীক্ষার তারিখ বদলানো যায় কিনা। "কোনও পরিক্ষার্থী অসুবিধের মধ্যে পড়ুক, আমরা চাই না। যেভাবে সরকারি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হল, তাঁকে আমরা ধিক্কার জানাই। রাজ্য সরকারের তো বন্ধ সমর্থন করা উচিত ছিল। কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে বন্ধ ডাকা হয়েছে", বললেন সাহু।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "ধর্মঘট করে মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় না। আমরা রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানাবো জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য। দোকান পাট অন্যন্য পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। পরীক্ষার সূচি বদলানো হবে না"।
Read the full story in English