Punjab: মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রায় দেড় মাস বাদে সরকারি ভাবে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা অমরিন্দর সিংয়ের। মঙ্গলবার সাত পাতার পদত্যাগ পত্রে সনিয়া গান্ধিকে কংগ্রেস ছাড়া কারণ দর্শান তিনি। ব্যথিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত। পদত্যাগ পত্রে এমন লিখেছেন তিনি। পাশাপাশি সিধুকে অস্থিরমতি বলেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ দুর্নীতিপরায়ণ এবং বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এ ভাষাতেই সরব হয়েছেন রাজনীতির ক্যাপ্টেন।
তিনি কংগ্রেস ছেড়ে পৃথক দল গড়বেন। লড়বেন পঞ্জাবের আগামি বিধানসভা ভোট। এই ঘোষণা আগেই করেছেন অমরিন্দর সিং।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেস ছেড়়ে বেরিয়ে আসবেন কি না তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল। ঘনঘন মোদী-শাহের সঙ্গে দেখা করা নিয়েও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। গত মাসেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়ে দিলেন, নিজের দল তৈরি করবেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দল ঘোষণা করে বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন তিনি। তবে তার শর্ত রয়েছে।
তিনি বলেছেন, কৃষকদের দাবিদাওয়া মিটলে তবেই বিজেপির সঙ্গে জোট করবেন তিনি। গত মাসে বেশ কয়েকদিন ধরে দিল্লিতেই ছিলেন ক্যাপ্টেন। তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি টুইট করে জল্পনা বাড়ান। লিখেছেন, “পাঞ্জাবের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চলবে। শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করব পাঞ্জাব ও তার জনতার স্বার্থের জন্য। সেই সঙ্গে কৃষকদের স্বার্থে যাঁরা একবছর ধরে অস্তিত্বের লড়াই লড়ছেন।”
তিনি আরও লিখেছেন, “যদি কৃষকদের দাবিদাওয়া মিটে যায় তাহলে আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে। এছাড়াও সমান মতাদর্শের শিরোমণি অকালি দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে জোট হতে পারে। বিশেষ করে ধিন্দসা এবং ব্রহ্মপুরা অঞ্চলে।” ক্যাপ্টেনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। তাঁকে পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। এদিকে, শিরোমণি অকালি দলের (সংযুক্ত) সভাপতি সুখদেব সিং ধিন্দসা জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেনের তরফে এখনও কোনও প্রস্তাব আসেনি। ক্যাপ্টেনের মতিগতি ভাল ঠেকছে না দেখে পাঞ্জাব কংগ্রেস মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে তাঁর স্ত্রী সাংসদ প্রীনিত কৌর দল না ছাড়েন। ক্যাপ্টেনের পদক্ষেপের কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, “পাঞ্জাবে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ-বৈদেশিক শত্রুর থেকে সুরক্ষা প্রয়োজন।” তিনি বলেছেন, “আমি আমার জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, শান্তি-সুরক্ষার জন্য যা যা করার সব করব, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে দরকার।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন