আঁচ মিলেছিল আগেই। বাস্তবেও হল তাই। অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় লোকসভায় চেঁচামিচি জুড়েদেন বিরোধী দলের সাংসদরা। ফলে নতুন মন্ত্রী ও সাংসদদের সঙ্গে পরিচয়পর্বে ব্যাঘাত ঘটে। অধ্যক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও থামেননি বিরোধী সাংসদরা। এর জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কিন্তু অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যা আদতে লোক দেখানো বলেই মত বিরোধীদের। পরে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
Advertisment
এদিন অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'সব দলের সকল সাংসদকে বলতে ছাই যে কঠিন ও তীক্ষ্ণ প্রশ্ন করুন, কিন্তু সরকারপক্ষকে কোভিড আবহে সেসব প্রশ্নের উত্তর শান্তিপূর্ণভাবে দেওয়ার সুযোগ দেবেন। অযতা হট্টগোল করবেন না। এতেই গণতন্ত্র সমৃদ্ধ হবে। উন্নয়নের প্রতি দেশবাসীর আশা ও আস্থা পোক্ত হবে।'
করোনা মোকাবিলা নিয়ে সরকারকে সংসদে বিঁধতে তৈরি তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। এদিন মোদী বলেছেন, 'মহামারী ও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সব ধরণের আলোচনা হতে পারে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় আলোচনার জন্য নির্ধারিত হতে পারে।'
কিন্তু এদিন সংসদ শুরু হতেই ভাষণ দেন মোদী। তখনই চেঁচামিচি জুড়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। ভাষণে প্রধানমনত্রী বলেছেন যে, 'দলিত, মহিলা, চাষীর সন্তান, গ্রামীণ পরিবার থেকে অনেকেই মন্ত্রীপরিষদে ঠাঁই পেয়েছেন, যা সত্যিই গর্বের। কিন্তু অনেকেই তা মেনে নিতে পারছেন না। এতে লোকসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।'
অধিবেশনের আগে এদিনও ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সকলকে আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। যাঁরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাঁরাই 'বাহুবলী' বলে জানান তিনি। টিকার একটি বা দু'টি ডোজ নিলেও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্যও সতর্ক করেছেন মোদী।