জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মহিলাদের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যর জেরে বিপাকে পড়তে হল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারকে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কন্যাসন্তানদের শিক্ষার প্রয়োজন বিহার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর এই মন্তব্যকে ‘অশোভনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন বিরোধী বিজেপি।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া আসছে। বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন যে তিনি সংসদে কথা বলছেন। সরকারের করা কাস্ট সেনসাস নিয়ে কথা বলছিলেন নীতিশ৷ তিনি বলেন, বিহারে মহিলাদের ফার্টিলিটি রেট ৪.৩ শতাংশ থেকে কমে ২.৯ শতাংশ হয়েছে। এর মূলে রয়েছে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার। নীতিশ বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে শিক্ষা।
আরও পড়ুন : < বাতাসে বিষ! মানসিক চাপ, মুড সুইংয়ের কারণও দূষণ? চমকে যাওয়ার মত তথ্য প্রকাশ্যে >
নীতিশ যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিহার বিধানসভার মহিলা বিধায়করা নীতিশের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে নীতীশের হয়ে সাফাই গেয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তাঁর দাবি,মুখ্যমন্ত্রী যৌন শিক্ষার কথা বলেছেন। কোনও অশালীন ইঙ্গিত করেন নি বা মহিলাদের অসম্মানজনক কোনও কথা বলেননি। যদিও তেজস্বীর এই দাবি মানতে রাজি নন বিহার বিজেপি সভাপতি সম্রাট চৌধুরী। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে "অশ্লীল এবং পুরুষতান্ত্রিক" বলে অভিহিত করেছে এবং তার পদত্যাগ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: < মাত্র ৫ বছরেই ৫০০ কোটির আউটসোর্সিং! লক্ষ্মীলাভের তালিকায় শীর্ষে কোন সংস্থা? >
প্রবীণ বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তার মন্তব্যের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছেন। এদিকে দিল্লি কমিশন ফর উইমেন চেয়ারপারসন স্বাতি মালিওয়ালও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। রাজ্য বিধানসভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্তব্য জাতীয় মহিলা কমিশন, এনসিডব্লিউ প্রধান রেখা শর্মা নীতীশ কুমারের সমালোচনামূলক মন্তব্য করে উল্লেখ করে এই মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।