মঙ্গলবার সকালে কর্নাটকের উদুপির শাম্ভবী হোটেল থেকে সন্তোষ পাটিল নামের বছর চল্লিশের এক ঠিকাদারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলেই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। যদিও, এর আগে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছিলেন এই ঠিকাদার। এরপরই তাঁর রহস্যমৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছে।
ঠিকাদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের এফআইআরে মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার নাম রয়েছে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ নম্বর ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) দেওয়া হয়েছে। ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্টে বা এফআইআরে মন্ত্রীর দুই সহযোগীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠতেই মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা জানিয়েছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই মন্ত্রী পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দাবি করলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
এসবের মধ্যেই ঠিকাদার মৃত্যুর ঘটনায় এ দিন ম্যাঙ্গালুরুতে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। তিনি বলেন, 'একটা এফআইআর হয়েছে। আমি ঈশ্বরাপ্পার সঙ্গে কথা বলব। ফোনে এবং স্বশরীরে আমাদের কথা হবে। আমি জানি না যে মন্ত্রী কী বলেছেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলেই সব জানাতে পারব।'
এরপরই ভোলবদল করেন মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা। আগে ইস্তফা দেওয়ার যে কথা বলেছিলেন তা থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে আসেন। বলেন যে, 'এ ধরণের ঘটনা ১০০টা দেখেছি। ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।'
ইতিমধ্যেই, কর্নাটকের কংগ্রেসের প্রধান ডি কে শিবকুমার এবং বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত ককরার দাবিতে সরব হয়েছেন। তার মধ্যেই ঈশ্বরাপ্পার এ দিনের মন্তব্য ঘিরে জলঘোলা অবস্থা আরও জটিল হল।
Read in English