এবার পুরভোট নিয়ে তুঙ্গে উঠল রাজভাবন-নবান্ন দ্বৈরথ। মঙ্গলবার বিকেলে চিঠি লিখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। চিঠিতে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচম কমিশনারকে সাফ লিখেছেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের পথে হাঁটছে এবং ক্রমশ নির্বাহক সংস্থায় পরিণত হচ্ছে। যা একেবারেই সংবিধান মোতাবেক সম্মত নয় ও একইসঙ্গে গণতন্ত্রর পক্ষে ক্ষতিকারক। এটি সংবিধানের ১৯-এ ধারার সারমর্ম ও স্পিরিটকে লঘু করে দেবে।'
রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের কোনও সংস্থা নয়। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা। তাই তাকে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষাভাবেই কাজ করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতোই রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও স্বাধীন ক্ষমতা রয়েছে। একথাও কমিশনারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন রাজ্য সরকারের পথে হেঁটে কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট পৃথক দিনে করতে কমিশন আগ্রহী তা কমিশনারের থেকে জানতে চান রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজ্যের বকেয়া ১১২টি পুরসভার ভোট একসঙ্গে করার কথাও বলেছেন ধনকড়। রাজভবন সূত্রে খবর, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করতে বলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
এই বৈঠকের পরই রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন কমিশনারেরই সমতূল্য। তাই তাদেরও নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হওয়া উচিত।' এরপরই এ দিন কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট সংক্রান্ত নির্ঘণ্ট ঘোষণা স্থগিত রাখে কমিশন। সূত্রের খবর, বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানির পরেই এই দগুই পুরসভার দিন ঘোষণার করতে পারে কমিশন।
পরে বিকেলে সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে কমিশনারকে চিঠি দিয়ে স্বাশাসিত সংস্থা হিসাবে কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যপাল। চিঠিতে উল্লেখ, 'এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও সব পুরসভার ভোট একযোগে করার চিন্তাভাবনা করেছিল। কোনও রাজনৈতিক কারণে এর থেকে সরে আসা উচিত হবে না।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন