গত শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই দলের তরফে 'পুরস্কৃত' হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তৃণমূলে বড় পদ দেওয়া হল তাঁকে। অভিজ্ঞতা, দক্ষতার নিরিখে তৃণমূলের সহসভাপতি করা হয়েছে প্রাজ্ঞা রাজনীতিবিদ যশবন্তকে। একই সঙ্গে তাঁকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যও করা হয়েছে।
গেরুয়া আদর্শে বিশ্বাসী যশবন্তের সঙ্গে দলের বর্তমান নেতৃত্ব অর্থাৎ মোদী-শাহের সম্পর্ক ভালো নয়। ২০১৯ সালের ভোটের আগে প্রকাশ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। এমনকী ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বে কলকাতায় বিজেপি বিরোধী দলগুলোর ব্রিগেডের সভাতেও উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান ওই নেতা। পদ্ম শিবিরকে পরাস্ত করার ডাক দেন।
গত বছরগুলো মোদী সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। কিন্তু শনিবার সবাইকে কিছুটা চমকে দিয়েই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাই আগামীদিনের পথপ্রদর্শক হবে। এই বিধানসভা নির্বাচন কেবলমাত্র বাংলার জন্যই নয়, ২০২৪ সালের সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেও বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই দূর থেকে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতেই তৃণমূলে যোগদান। আমার সীমিত ক্ষমতা দিয়ে তাঁকে বিজয়ী করার লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করব।'
একই সঙ্গে মোদী-শাহের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রবীণ এই নেতা বলেন, 'মোদী-শাহের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।'
বাজপেয়ী জমানার সঙ্গে মোদীর আমলের পার্থক্য বোধানতে গিয়ে যশবন্ত বলেছেন, 'বাজপেয়ী কখনও ভেদাভেদ করতেন না। কিন্তু, মোদী সরকার স্বেচ্ছাসার চালাচ্ছে। এদের লক্ষ্য যেন তেন প্রকারে ভোটে জেতা।'
দেশের অর্থ ও বিদেশ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন যশবন্ত সিনহা। ভোটের আগে দলের বড় পদ দিয়ে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন