Yediyurappa faces setback as POCSO probe: কর্ণাটক বিজেপির একসময়ের শেষ কথা ইয়েদুরাপ্পার সময়টা ইদানিং ভালো যাচ্ছে না। বিজেপি তাঁকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে তুলে নিয়ে আসার পরও সেই খারাপ সময় অব্যাহত। এবার লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই তিনি পকসো মামলায় জড়িয়ে পড়লেন।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভয়াবহ পরাজয়ের পর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্রকে রাজ্য সভাপতি করেছে। যার জেরে কর্ণাটক বিজেপিতে ইয়েদুরাপ্পার প্রভাব-প্রতিপত্তি ফের আগের জায়গায় ফিরতে শুরু করেছে। এমনকী, লোকসভা নির্বাচনেও সেই প্রতিপত্তি দেখা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের দাবি। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইয়েদুরাপ্পা বড় প্রভাব ফেলেছেন বলেই দাবি বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী গোষ্ঠীর। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের যখন আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, সেই সময় ৮১ বছরের ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মামলা হয়েছে পকসো আইনে।
এর আগে ২০২১ সালে কর্ণাটকের তৎকালীন মন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা তাঁর মন্ত্রিসভায় সাত জন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কর্ণাটক বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। বিজেপির কিছু বিক্ষুব্ধ নেতা অভিযোগ করেছিলেন, এক ব্যক্তিগত ভিডিও দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। তার জেরেই তিনি সাত জন মন্ত্রীকে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয়েছেন।
তারও আগে ২০১৯ সালেই বিজেপি কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই ধরনের একটি ভিডিও সম্পর্কে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। ২১ সালে যখন পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে ওঠে, সেই সময় প্রবীণ নেতা ইয়েদুরাপ্পার বয়সের উল্লেখ করে, ওই বছর জুলাইয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইয়েদুরাপ্পাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেয়। বদলে, বাসভরাজ বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করে। ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে আনা হয় দিল্লির রাজনীতিতে। এর পরই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ঠান্ডা হয়।
এবার লোকসভা নির্বাচনের মুখে কর্ণাটকে বিজেপি ২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তার পরই শুরু হয়েছে গোলমাল। গত ১৪ মার্চ, বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর নাবালিকা মেয়েকে যৌন হয়রানি করেছেন ৮১ বছরের ইয়েদুরাপ্পা। পুলিশ যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইন, ২০১২ এবং আইপিসি ৩৫৪-এ ধারার অধীনে একটি অভিযোগ ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করেছে। মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। শীঘ্রই ইয়েদুরাপ্পার মুখোমুখি হবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে মরিয়া আমেরিকা, বিশেষ পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইয়েদুরাপ্পা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ব্যাপারে গত অভিযোগ দায়েরের পরদিন, ১৫ মার্চ তিনি বলেছিলেন, 'প্রায় এক বা দেড় মাস আগে, অভিযোগকারিণী মহিলা ও তাঁর মেয়ে সাহায্য চাইতে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁদের কথা শোনার পর আমি শহরের পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দকে ফোন করে সমস্যা সমাধান করতে বলি। পরে, ওরা আমার বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করে। আমার তখনই মনে হয়েছিল যে, ওঁদের কোনও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা আছে। আমি তাঁদেরকে নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠাই। এমনকী, তাঁরা সমস্যায় পড়েছিল বলে আমি তাঁদের কিছু টাকাও দিয়েছিলাম। আমি জানতে পেরেছি যে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমি অবশ্যই আইনি মোকাবিলা করব। কিন্তু, বাস্তবটা হল, কাউকে সাহায্য করতে গিয়ে আমি এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি।'