রাজনৈতিক হিংসা বাড়ছে রাজ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর পর বর্ধমানে পিটিয়ে খুনে করা হয়েছে এক যুবককে। দাবি করা হচ্ছে ওই যুবক তৃণমূল সমর্থক। এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে মারধর ও তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় বর্ধমান শহর জুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি। খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটর বাইক ও সাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়। ধাক্কা লাগার বিষয়টি তখনকার মতো মিটে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে জনা পঞ্চাশেক যুবক এসে ফের ঝঞ্ঝাট শুরু করে। বাইক চালক গৌতম দাসেক বেধড়ক মারতে থাকে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গৌতমকে (২৫) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত জনতা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিকাশ মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁকে মারধরও করে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, গৌতমকে যারা মারধর করেছে তারা বিকাশের অনুগামী। দলের দুই গোষ্ঠীর অন্তর্কলহের জন্যই এই ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীতে দুই গোষ্ঠীর বোমা-গুলির লড়াইতে এক তৃণমূল সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন। এভাবে দলের অভ্যন্তরে অশান্তি শুরু হওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব উদ্বিগ্ন। বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুবর সভাপতি তথা ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল বলেন, "সব বিষয়ে রাজনৈতিক রং দেওয়া ঠিক নয়।" তবে কেন তৃণমূল নেতা বিকাশের বাড়িতে আক্রমণের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুভাষ মণ্ডল।