টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে চার-ছয়ের ফুলঝুরি। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফর্ম্যাট ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। কিন্তু ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে কিন্তু উল্টোটাই হবে। তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন লখনউয়ের কিউরেটর। সাফ জানিয়ে দিলেন যে, এখানে ১৩০ রান তাড়া করে জিততেই রীতিমতো বেগ পেতে হবে।
দীর্ঘ ২৪ বছর পর নবাবের শহর লখনউয়ে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। স্টেডিয়ামের তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছে লখনউয়ের একানা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মঙ্গলবার নবনির্মিত এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামেএকানা স্টেডিয়ামের নামকরণ হয়েছে। লখনউয়ের কিউরেটর জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রচুর রানের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে আসলে হতাশ হয় ফিরতে হবে দর্শকদের। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “ এই ম্যাচে একেবারেই বড় রান আসবে না। পিচ দুই প্রান্তেই মৃত ঘাস রয়েছে। বেশ কিছু ফাটলও দেখা যাচ্ছে। এখানে বল ধীরে বাউন্স করবে। স্পিনাররা খেলার শুরু থেকেই উপকৃত হবে। উড়িষ্য়ার বোলাঙ্গিরের মাটিতে তৈরি হয়েছে এই পিচ। আর ওখানকার মাটি ধীর প্রকৃতির বলেই প্রসিদ্ধ। দু’দলেরই রান করতে সমস্যা হবে। বাউন্ডারিও অনেকটা লম্বা।”
আরও পড়ুন: ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ঠিকানা ‘বদল’
বিসিসিআই-এর প্রধান কিউরেটর দলজিত সিং শুরু থেকেই একানার পিচের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কিউরেটর রবীন্দ্র চৌহান, শিব কুমার ও সুরেন্দ্রর সাহায্য় নিয়েই পিচ বানিয়েছিলেন। আরেক কিউরেটর বলছেন যে, স্থানীয় মাটির ব্যবহারের জন্য় রানের বন্যা বয়ে যেতে পারত। কিন্তু শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হবে। তাঁর সংযোজন আউটফিল্ড রীতিমতো ফাস্ট। কিন্তু ম্যাচে শিশির বড় একটা ভূমিকা নেবে। পূর্ব ভারতে এখন ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। ফলে প্রথম বল থেকেই শিশিরের প্রভাব বোঝা যাবে। বল সহজে বাউন্ডারি লাইন পার করবে না। ব্যাটসম্যানদের অনেক দৌড়তে হবে।”