Kohli’s 5 key habits that make him cricket’s ultimate athlete: বছরের পর বছর ধরে, বিরাট কোহলি এমন কিছু ফিটনেস মন্ত্র পালন করে যাচ্ছেন, যা তাঁকে বিশ্বের অন্যতম ফিট অ্যাথলিটে পরিণত করেছে। তিনি ক্রিকেটে ফিটনেসের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। অ্যাথলেটিসিজম, স্ট্যামিনা ও শৃঙ্খলার নতুন মানদণ্ড গড়ে তুলেছেন। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ-জয়ী সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিরাট তাঁর সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন।
মাঠে অসাধারণ ক্ষিপ্রতা ও লম্বা ইনিংসে দৃঢ় মনোবল কোহলির ফিটনেসের প্রতি দায়বদ্ধতাকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। যদিও প্রতিভা একটা বড় বিষয়, তবে কঠোর অনুশীলন, সুনির্দিষ্ট ডায়েট এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনধারা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই সেরা পর্যায়ে পারফর্ম করতে সাহায্য করে চলেছে। তাহলে কী কী অভ্যাস কোহলির ফিটনেসকে এত কার্যকর করে তুলেছে? তরুণ অ্যাথলিটরা তাঁর থেকে এই ব্যাপারে কী শিখতে পারেন?
বিরাট কোহলিকে ক্রিকেটের ফিটনেস আইকনে পরিণত করেছে যে ৫টি অভ্যাস
১. সুগঠিত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা (Structured Training Regimen)
কোহলি কঠোর অনুশীলন (HIIT), ওয়েট ট্রেনিং (Strength Training) এবং ফাংশনাল ব্যায়াম (Functional Exercises) মিলিয়ে একটি নির্দিষ্টি ট্রেনিংয়ের রুটিন অনুসরণ করেন। এতে তাঁর প্রতিটি পেশী কার্যকর থাকে এবং শরীরের ফিটনেস সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে।
২. কঠোর পুষ্টি পরিকল্পনা (Disciplined Nutrition)
তাঁর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। তিনি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান, যা তাঁর ওয়ার্কআউটের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায় এবং দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধারে (recovery) সাহায্য করে।
৩. মানসিক দৃঢ়তা ও ফোকাস (Mental Fitness)
কোহলি শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনি মাইন্ডফুলনেস (mindfulness), ধ্যান (meditation) এবং মানসিক প্রশিক্ষণ (mental conditioning) নেন, যা তাঁকে চাপে শান্ত থাকতে সাহায্য করে।
৪. পুনরুদ্ধারকে গুরুত্ব দেওয়া (Prioritising Recovery)
তিনি তাঁর শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। তাঁর রিকভারি রুটিনে যোগব্যায়াম (yoga), ফিজিওথেরাপি (physiotherapy) ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম (adequate rest) প্রতিদিন থাকে। এগুলো তাঁকে ইনজুরি এড়াতে ও দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে সাহায্য করে।
৫. কঠোর নিয়মশৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিকতা (Unwavering Consistency)
তিনি সবসময় একই রুটিন মেনে চলেন, এমনকী অফ-সিজন বা ভ্রমণের সময়ও তিনি এই রুটিন অনুসরণ করেন। এই ধৈর্য এবং নিয়মানুবর্তিতা তাঁকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের অ্যাথলিট হিসেবে টিকে থাকতে সাহায্য করছে।
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: লাইভ স্ট্রিমিং, স্কোয়াড, আবহাওয়া, পিচ রিপোর্ট, একাদশ
কোহলির ফিটনেস থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
কোহলির ফিটনেস রুটিন থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নেওয়া যায়, বিশেষ করে যদি কেউ নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে চান:
✅ নিয়মিত ব্যায়াম: কার্ডিও ও ওয়েট ট্রেনিংয়ের সমন্বয় শরীরের স্ট্যামিনা ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
✅ সঠিক খাদ্যাভ্যাস: প্রাকৃতিক খাবার, লিন প্রোটিন, ফল ও সবজি খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় থাকে।
✅ মানসিক প্রশান্তি: ধ্যান, গভীর শ্বাস নেওয়া ও মাইন্ডফুলনেস চর্চা স্ট্রেস কমাতে ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
✅ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধার: নিয়মিত ঘুম ও হালকা যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং শরীরকে পুনরুজ্জীবিত বা ঝরঝরে করে।
সবচেয়ে বড় কথা
বিরাট কোহলির কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ তাঁকে বিশ্বের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার বানিয়েছে। তাঁর অভ্যাসগুলোর মূল শিক্ষা হল— দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ও ফিটনেস পেতে হলে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও মানসিক শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।