ভারত কি পাকিস্তানের বিশ্বকাপে এগোনো আটকাতেই ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল! এই প্রশ্নই তুলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। সেই বিতর্কই ফের উস্কে দিয়ে আব্দুল রাজ্জাক জানিয়ে দিলেন, ইন্ডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরে বসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
পাকপ্যাশন.নেট কে প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার জানিয়ে দিলেন, "টিভি উপস্থাপক হিসাবে সেদিন আমাদের একই অনুভূতি হয়েছিল। আইসিসি ম্যাচ গড়াপেটা রুখতে এত উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃত ম্যাচ হেরে বসে যাতে সেমিফাইনালে পাকিস্তান পৌঁছাতে না পারে, তাহলে তো জরিমানা ও শাস্তি দুটোই সেই দলকে দেওয়া উচিত।"
এখানেই না থেমে তিনি বিস্ফোরক ভঙ্গিতে আরো জানিয়েছেন, "যারা অল্পবিস্তর ক্রিকেট খেলেছে তারা সহজেই এই বিষয়টি ধরে ফেলতে পারবে। যদি একজন কোয়ালিটি বোলার সঠিক লাইন লেংথে বল না করে উইকেট তোলার কোনো আগ্রহ না দেখায়, সেই বিষয় সকলেরই চোখে পড়বে। সবাই তো বুঝতে পারবে সেই বোলার ইচ্ছা করেই এমনটা করছে।"
এখানেই আইসিসির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাজ্জাক। সাফ জানিয়েছেন, "আইসিসির নতুন নিয়ম চালু করা উচিত, যেখানে বলা থাকবে কোনো দল যদি নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারে, তাহলে শাস্তির বিধান থাকবে।"
ধোনির ইনিংসকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন তিনি। বলেছেন, "এই বিষয়ে কোনো সন্দেহই নেই। শুধু আমিই না, অন্য ক্রিকেটাররাও একথা বলছে। সবাই দেখেছেন, যে কিনা ছক্কা হাঁকাতে পারে, সেই চার মারার কিংবা ডিফেন্স করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে।"
এর আগে বেন স্টোকস গত ভারতের রণকৌশল নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তাঁর বই 'অন ফায়ার' এ। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকা ভারত একমাত্র ম্যাচ হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে। সেই ম্যাচে বার্মিংহ্যামে ইংরেজদের ৩৩৭ রান তাড়া করতে নেমে ৩১ রান আগেই থমকে যায় ভারতের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার লিখেছেন, “শেষ ১১ ওভারে ১১২ রান দরকার এমন অবস্থায় খেলতে নেমে ধোনি অদ্ভুতভাবে খেলল। ছয় মারার বদলে সিঙ্গলস নেওয়াটাই ওর বেশি লক্ষ্য ছিল। কমপক্ষে ১২ বল হাতে নিয়ে ইন্ডিয়া ম্যাচটা জিততে পারত।”
এখনো অপ্রকাশিত সেই বইয়ে স্টোকস আরো লিখেছেন, “ধোনি অথবা ওর পার্টনার কেদার যাদবের ম্যাচ জেতার কার্যত কোনো ইচ্ছাই ছিল না।"
স্টোকসের এমন বিশ্লেষণের পরেই পাকিস্তান ক্রিকেট মহলের একাধিক ক্রিকেটার ভারতের জয়ের ইচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।