PAK vs SA: পুরো সিরিজে ব্যাটে নেই ১ রান-ও! ক্রিকেট ইতিহাসে কলঙ্কের কীর্তি পাকিস্তানি ওপেনারের

SA vs PAK 3rd ODI: গোটা সিরিজে কোনও রান না করেই রেকর্ড করে ফেললেন আবদুল্লা শফিক। এক অনন্য নজির তৈরি হল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের স্টেডিয়ামে।

SA vs PAK 3rd ODI: গোটা সিরিজে কোনও রান না করেই রেকর্ড করে ফেললেন আবদুল্লা শফিক। এক অনন্য নজির তৈরি হল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের স্টেডিয়ামে।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
Pakistan, South Africa ODI, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের ম্যাচ

Pakistan-South Africa ODI: পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দৃশ্য। (ছবি- আইসিসি)

Abdullah Shafique record in SA vs  PAK: দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজে এক রানও না করে নজির গড়লেন পাকিস্তানের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। জোহানেসবার্গে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। যার ফলে এক ক্যালেন্ডার বছরে সর্বাধিক সংখ্যক শূন্য রানে আউট হয়ে পাকিস্তানের এই ওপেনার নজির গড়লেন। তিনিই প্রথম ব্যাটার, যিনি এতবার শূন্য রানে আউট হলেন। ২০২৪ সালে, ২৫ বছর বয়সি পাকিস্তানি ওপেনার মোট ২১টি ইনিংস খেলেছেন। তার মধ্যে ৭টি ইনিংসে তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। 

Advertisment

এর আগে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শূন্যরানে আউট হওয়ার নজির ছিল ইমরান নাজিরের। তিনি ২০০০ সালে ৩২ ইনিংসে ৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ২০১২ সালে মহম্মদ হাফিজ ৪৩ ইনিংস খেলে ৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। তবে, এঁরা কেউ নন। এক ক্রিকেটবর্ষে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শূন্যরানে আউট হওয়ার নজির গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস। তিনি ২০০২ সালে ৫১টি ইনিংস খেলে ৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এই খারাপ নজির রয়েছে শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশানেরও। তিনি ২০১২ সালে ৫৬ ইনিংস খেলে ৮ বার শূন্যরানে আউট হয়েছেন।

পাকিস্তান ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাদের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে। তৃতীয় ম্যাচ ডিএলএস পদ্ধতিতে ৩৬ রানে জয় পেয়েছে। ওপেনার সাইম আইয়ুবের ৯৪ বলে ১০১ রানের দৌলতে পাকিস্তান ওয়ান্ডারার্সে ৪৭ ওভারের ম্যাচে ৯ উইকেটে তুলেছিল ৩০৮ রান। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ৩ ওভার করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয়ে যায়।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ওভারে আবদুল্লাহ শফিককে হারায়। তখন পাকিস্তানের রান ছিল ১ বলে ১ উইকেট। এরপর সাইম আইয়ুবের সঙ্গে বাবর আজম দ্বিতীয় উইকেটে ১১৪ রান যোগ করেন। আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। পাশাপাশি, অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান ৫৩ বলে ৫২ রান করেন। যার দৌলতে পাকিস্তান তৃতীয় উইকেটে তোলে ৯৩ রান। 

Advertisment

বছর ২২-এর আইয়ুব সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১০৯ রান করেছিলেন। তাঁকে আউট করেছিলেন ওই ম্যাচে অভিষেক হওয়া করবিন বোশ। আইয়ুব ২টি ছক্কা এবং ১৩টি চার মেরেছেন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সালমান আঘা ৩৩ বলে করেছেন ৪৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন। 

আরও পড়ুন- ম্যাচ চলাকালে মাঠেই সন্তান প্রসব, বিয়ের প্রস্তাব! ঝড় উঠলো পাক-প্রোটিয়াজ ম্যাচে

জবাবে, হেনরিখ ক্লাসেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৮১ রান করেন। বোশ অপরাজিত ৪০ রান করেন। পাকিস্তানের স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৮ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এই সিরিজে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ তিন উইকেটে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ ৮১ রানে জিতেছিল। এই জয়ের ফলে পাকিস্তান টানা পঞ্চমতম দ্বিপাক্ষিক ওডিআই সিরিজ জিতল। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করতে চলেছে। তার আগে তাদের এই টানা জয় পাকিস্তান দলকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

cricket ODI South Africa Cricket Team Cricket News Pakistan Cricket South Africa