Rahul Dravid's advice to u-19 Team India: শান্ত ধীরস্থির স্বভাবের জন্যই ক্রিকেট বিশ্বে আলাদা সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেটীয় কেরিয়ারে তো বটেই কোচ হিসেবেও নিজের স্বভাবের সেই বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি মেজাজ হারিয়েছেন, এমন ঘটনা বিরলের মধ্যেও বিরলতম।
তবে 'কোচ' রাহুল দ্রাবিড়ের অন্য চেহারা এবার সামনে আনলেন সিনিয়র পর্যায়ে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে টি২০ খেলে ফেলা অভিষেক শর্মা। বিধ্বংসী বাঁ হাতি ব্যাটার দ্রাবিড়ের পুরোনো এক ঘটনা শেয়ার করে হইচই ফেলে দিলেন।
অনুর্দ্ধ-১৯ পর্যায়ে অভিষেকের সতীর্থ মনজোৎ কালরার ইউটিউব চ্যানেলে অভিষেক শর্মা উজাড় করে বলেছেন সেই ঘটনা, "আমরা বাংলাদেশের কাছে আন্ডার-১৯ এশিয়া কাপে হেরেছিলাম। তারপর আবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হই। রাহুল দ্রাবিড় আমাদের বলেছিলেন, ওঁরা যদি গালিগালাজ করে আমরাও যেন পাল্টা দিই। উনি যে এরকম পরামর্শ দেবেন, আমরা ভাবতেই পারিনি। সেই ম্যাচের জন্য আমরা রীতিমত তেড়েফুঁড়ে নামতে প্রস্তুত হয়ে যাই।"
দ্রাবিড়ের সেই পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠা ভারতীয় যুবদের থামাতে পারেনি বাংলাদেশ। অভিষেক শর্মা হাফসেঞ্চুরি করে যান। পরে বল হাতে ১১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন। বাংলাদেশ রান চেজ করতে নেমে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারত ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।
রাহুল দ্রাবিড় ছাড়াও যুবরাজের বিশাল ভূমিকা রয়েছে অভিষেকের কেরিয়ার গড়ে তোলার পিছনে। কালরার পডকাস্টে অভিষেক যুবরাজকে নিয়ে বলেছেন, "আমি যখন ১৬ বছর সেই সময় যুবরাজের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ হয়। সেই সিজন ছিল ওঁর কাছে কামব্যাকের। প্রায় ৮০০ রান করে ফেলেছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে। উনি সবসময়ই আমার আইডল ছিলেন। আমরা সকলেই ২০০৭-এর টি২০ বিশ্বকাপ জয় থেকে অনুপ্রাণিত। আমাকে ক্রিকেটে টেনে আনা, যুবি পাজির মত ব্যাট-বল করার পিছনে সেই জয়ের প্রভাব রয়েছে।"
"যুবরাজ যখন বুঝতে পারলেন ওঁর ব্যাটিংয়ের ধরণের সঙ্গে আমার মিল রয়েছে, আমাকে উনি মনিটর করা শুরু করেন। আমিও ওঁর আকর্ষণ করার জন্য খেলা চালিয়ে যেতাম। উনি মাঠ-মাঠের বাইরে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। যা এখনও আমার কাজে আসে। এখনও ওঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি যোগরাজ স্যার-ও আমাকে ট্র্যাক করেন। যুবরাজের সঙ্গে অনুশীলন করতে বরাবর ভালো লাগে।"