আইপিএল না হলে কয়েক হাজার কোটির ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই। এমনটা এবার জানিয়ে দিলেন স্বয়ং বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনার কারণে প্রত্যেক দেশের ক্রিকেট বোর্ডই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ভারতের ক্রিকেটেও আছড়ে পড়ছে সেই ধাক্কা। এর মধ্যেই সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে সৌরভ জানিয়ে দিলেন, এই বছর যদি কোনোভাবে আইপিএল না আয়োজন করা হয়, তাহলে সম্ভবত কর্মীদের পে কাট করা হতে পারে।
মিড ডে পত্রিকায় সৌরভ জানান, "কিছুদিন পর আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। দেখতে হবে ভাঁড়ারে কত টাকা আছে এবং তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইপিএল আয়োজন না করতে পারলে ৪০০০ কোটির ক্ষতি হবে বোর্ডের। এটা বিশাল বড় একটা ধাক্কা।"
আইপিএল হলে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া যাবে, এমনটাই বলছেন মহারাজ। তাঁর বক্তব্য, "যদি আইপিএল হয়, তাহলে কর্মীদের পে কাট হবে না।"
দর্শকশূন্য আইপিএলের কথা জানাতে গিয়ে সৌরভ জানান, আকর্ষণ অনেকটাই কমে যাবে। ফাঁকা মাঠে নিজের খেলার অভিজ্ঞতা শেয়ারও করেন তিনি।
সৌরভ জানান, "আইপিএল ঘিরে আকর্ষণ অনেকটাই কমে যাবে। আমার মনে আছে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এমন এক পরিস্থিতিতে আমিও খেলেছিলাম। (ইডেন গার্ডেন্সে দর্শকরা ঝামেলা করায় পঞ্চমদিন দর্শকদের ছাড়াই টেস্ট হয়।) সেই সময় স্পষ্টতই আগ্রহের অভাব ছিল।"
সৌরভের আরো সংযোজন, "যদি কড়া বাধানিষেধের মধ্যে আইপিএল খেলতে হয়, তাহলে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ববিধিই শুধু নয়, দর্শকরা কীভাবে বাড়ি পৌঁছাবে সেই বিষয়েও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের দেখতে হবে। পুলিশকে কড়া হাতে বিষয়টা সামলাতে হবে। এটা কঠিন একটা বিষয়।"
মার্চ মাসের ২৯ তারিখ আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে লকডাউনের জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর আরো কয়েকদফা লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইপিএল স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।