অমীমাংসিত ভাবেই শেষ হল মরসুমের প্রথম ডার্বি। কিন্তু রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে এল চার গোল। স্কোরলাইন ২-২। ইস্টবেঙ্গল দু’গোলে পিছিয়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ড্র করল। ম্যাচ শেষের পর ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান কোচের বক্তব্যের সারমর্ম একটাই। বাস্তব রায় ও শঙ্করলাল চক্রবর্তী বলেই দিলেন যে, জনি অ্য়াকোস্টার গোলটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
ড্র করে সন্তুষ্ট ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লাল-হলুদের কোচ বলছেন ম্য়াচটা ইস্টবেঙ্গলের জেতা উচিৎ ছিল। বাস্তব জানালেন, “প্রথমার্ধে ওরা ভাল খেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটা আমাদের হাতে ছিল। জেতা উচিত ছিল। যদিও একটা পেনাল্টি আমাদের হয়েছিল। ওদের ফুটবলারের হাত বল লেগে যায়। কিন্তু ওটা পাইনি। কিছু করার নেই ম্য়াচ অফিসিয়ালের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই হয়।” অন্যদিকে জনি অ্যাকোস্টার পারফরম্যান্সে খুশি বাস্তব। তাঁর মতে প্রথম ম্য়াচ হিসেবে কোস্টা রিকার ডিফেন্ডার ঠিকই খেলেছেন। বাস্তবের কাছে ২-১ স্কোরলাইনই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। অ্য়াকোস্টার গোলই দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মত তাঁর।
অন্যদিকে শঙ্করলাল বলছেন যে, জেতা উচিৎ ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু গোল হজম করা বা সুযোগ নষ্টগুলোকে তিনি ফুটবলের অঙ্গ হিসেবেই দেখছেন। তবে শঙ্করলালকে আত্মবিশ্বাসী শোনাল যখন তিনি বললেন, “৯০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল একটাও ক্লিয়ার-কাট ওপেন করতে পারেনি। ইনজুরি টাইমে গোল খেয়েই সমস্যা হয়ে গেল।’’ অন্যদিকে মেহতাবকে খেলাতে না-পারাতেই তাঁর পরিকল্পনা ঘেঁটে যায় বলেই মত শঙ্করলালের। ড্র ডার্বির শেষে শঙ্করলাল-সুভাষের কী কথা হল! শঙ্করলাল বললেন, “দু’জনেই দু’জনকে বললাম বেঁচে গেলাম।” ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে আরও তিন ম্যাচ খেলতে হবে। লিগ এখনও ওপেন। সুতরাং যে কোনও দলই বাজিমাত করে দিতে পারে।