সুযোগ ছিল ইতিহাস গড়ার। তবে তা হয়নি। ২০২১-এর রিপিট টেলিকাস্ট ঘটিয়ে এএফসির ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচের পরে কোচ ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে সবুজ মেরুন কোচ সরাসরি দায়ী করছেন ফুটবলারদের মানসিকতাকে।
বুধবার হারের পর যুবভারতী স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ কোচ অজুহাতের ভঙ্গিতে বলে দেন, "এটা মানসিকতার সমস্যা। বড় ক্লাবের হয়ে খেলার সময় চরিত্রিক দৃঢ়তা দেখাতে হয়। সুযোগ হাতছাড়া হলেও প্রচেষ্টাটা জরুরি।"
আরও পড়ুন: এই তিন ভুলেই ডুবছে পালতোলা নৌকো! না শুধরোলে বিদায় হতে পারে ফেরান্দোর
"ফুটবলাররা আমার মতই ভীষণ হতাশ। সমাধান হল, আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ফিনিশিং নিয়েও অনেক খাটতে হবে। এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে হবে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ছেলেদের এটাই বলছিলাম।"
প্রথমার্ধে খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়েছিল। এটিকে মোহনবাগান নল পজেশনে কুয়ালালামপুরের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। ৭৮ শতাংশ বল পজেশন রেখেও গোলমুখ খুলতে পারছিল না সবুজ মেরুন শিবির। ম্যাচের বয়স যখন ৬০ মিনিট সেই সময়েই কুয়ালালামপুরের দলটির ক্যাপ্টেন পাওলো জোসু ম্যাচের গতির বিপরীতে দুর্ধর্ষ গোল করে যান।
আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুরের টর্পেডোয় বিধ্বস্ত বাগান! ডুরান্ডের পর ফেরান্দোর মাথা নিচু AFC-তেও
কুয়ালালামপুরের রক্ষণ এটিকে মোহনবাগানের সমস্ত আক্রমণ শুষে নিচ্ছিল। কুয়ালালামপুরের গোলরক্ষকও প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সবুজ মেরুন আক্রমণের সামনে।
কোচ ফেরান্দো বলে দিয়েছেন, "মাঠে একটাই দল আক্রমণ করছিল। অন্য দল সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। আক্রমণ করে মাঠের বস হওয়াটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তিনটে ভুল করেছি। তিনটে গোলও হজম করেছি। আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলছে, দল স্পেস তৈরি করতে চেয়েছিল। তবে সেই কাজে সফল হয়নি।"
আরও পড়ুন: Emami ইস্টবেঙ্গলের প্ৰথম বোর্ড মিটিংয়েই বেনজির সিদ্ধান্ত! দলের সঙ্গে এবার যাবেন কর্তারাও
ডুরান্ডের ভূত তাড়া করেছে এএফসিতেও। বল পজেশন বেশি রেখে পাসের ফুলঝুরি ফুটিয়েও গোলের সন্ধান পায়নি মেরিনার্সরা। ভালো বিদেশি বক্স স্ট্রাইকারের অভাব প্রতিনিয়ত অনুভূত হচ্ছে বাগান শিবিরে। এমন অবস্থায় কোচের বক্তব্য, "বল পজেশন বা পাসিং নিয়ে ভাবছি না। আমাদের সুযোগ তৈরি করে তা কাজে লাগাতে হবে। এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।"
ইস্ট জোনের ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে পৌঁছে যাওয়া কুয়ালালামপুরের প্রতিপক্ষ সোগদিয়ানা। ওয়েস্ট জোনের ফাইনালে মুখোমুখি আল সিব এবং আল রিফা। এরপরে ফাইনাল ২২ অক্টোবর।