অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে আনা হয়েছিল ফ্লোরেন্তিন পোগবা। 'পোগবা' পদবীর জন্য আইএসএল-এ ধুম মচালে পরস্থিতি তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু ডুরান্ডের পর এএফসির ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালেও নজর কাড়তে ব্যর্থ পল পোগবার দাদা। রক্ষণে তাঁর শ্লথগতির জন্য বারবার বিপদে পড়ছে দল। সবমিলিয়ে ফ্লোরেন্তিন ইতিমধ্যেই সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
কুয়ালালামপুর সিটি এফসির বিরুদ্ধে চাপের মুখে ভেঙে পড়লেন ফ্লোরেন্তিন। তৃতীয় গোলটি কার্যত তাঁর-ই 'অবদান'। এএফসিতে ফ্লোরেন্তিনকে ক্যাপ্টেন করে দল সাজিয়েছিলেন কোচ ফেরান্দো। ম্যাচের শেষে অবশ্য ফ্লোরেন্তিনের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ। বলে দিয়েছেন, "আমাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোই অবগত রয়েছি। পোগবা একজন লিডার। নেতা হিসেবে দলকে সাহায্য করতে পারে ও। ওঁর কাছাকাছি যারা রয়েছেন, তাঁদের সমর্থন প্রয়োজন ওঁর। ম্যাচটা কঠিন ছিল। ড্রেসিংরুমে ক্যাপ্টেনশিপ নিয়ে কথা হয়েছিল। আমরা ম্যাচ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী নেতা বাছব। তবে এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় বলেই মনে হয়।"
আরও পড়ুন: স্ট্র্যাটেজিতে কোনও গলদ নেই, হারের পর ফুটবলারদের দিকে সরাসরি আঙুল বাগান বস ফেরান্দোর
ডুরান্ডের পর এএফসিতেও রয় কৃষ্ণদের মত পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাব অনুভূত হয়েছে। বল দখল, বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও ফিনিশিংয়ের চূড়ান্ত ব্যর্থতা ডুবিয়ে দিচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে। বারবার সেই ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। তবে রয় কৃষ্ণদের না থাকাটা সমস্যার দেখছেন না কোচ ফেরান্দো। তাঁর বক্তব্য, "যখন আমরা হেরে যাই আপনাদের কাছে হয়ত প্লেয়ারদের সমস্যা ধরা পড়ে। তবে যাঁরা নেই তাঁদের নিয়ে আলোচনা করে শক্তিক্ষয় করা অপ্রয়োজনীয়। সমস্ত ফুটবলারই বিধ্বস্ত। তবে আমাদের আরও অনুশীলনে জোর দিতে হবে।"
আরও পড়ুন: ভারতে খেলতে চাওয়ায় ভয়ঙ্কর হুমকিতে ইস্টবেঙ্গলের বিতর্কিত ফুটবলার! সন্ত্রস্ত হয়ে কাটছে দিন
প্ৰথম একাদশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। হুগো বৌমাস, দিমিত্রি পেত্রাতোসকে যেমন রাখেননি। তেমনই অভিজ্ঞ লেস্টার ফার্নান্দেজের বদলে দীপক টাংরির অন্তর্ভুক্তি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। নিজের দল বাছাই নিয়েও সাফাই দিয়েছেন কোচ। বলে দিয়েছেন, "দিমিত্রি ফিট। তবে এএফসির নিয়ম অনুযায়ী, মাত্র তিনজন বিদেশিকেই বাছাই করা যাবে। দিমিত্রির থেকে লাইন আপে কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আমাদের। পুরোটাই টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত।"
আরও পড়ুন: এই তিন ভুলেই ডুবছে পালতোলা নৌকো! না শুধরোলে বিদায় হতে পারে ফেরান্দোর
"দিমিত্রির গত কয়েকদিনে অনুশীলন দেখে বুঝেছি, এই দলের সঙ্গে এখনও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কার্ল ৬ নম্বর পজিশনে ভালো খেলছে। জনিও দারুণ খেলেছে। জনি তো একদম নিখুঁত ছিল। পোগবা এবং হ্যামিলকে খেলানো হয়েছে, কারণ ওঁরা অনুশীলনে নজর কেড়েছিল। মিডফিল্ডারদের প্রোটেক্ট করার দরকার ছিল। তাই কাউকো এবং কার্লকে খেলানো হয়েছে। দিমিত্রিকে না খেলানো একদমই টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত।"