এএফসি কাপের সাউথ জোনের গ্রুপ পর্বে পৌঁছনোর জন্য মোহনবাগানের সামনে আপাতত আবাহনী। ফর্মে থাকা বাংলাদেশি ক্লাবকে হারালেই মূলপর্বে কোয়ালিফাই করবে সবুজ মেরুন শিবির। তবে এএফসি কাপে খেলতে নামার আগে অনেকটাই ছন্নছাড়া বাগান।
নতুন সিজনে একসঙ্গে ডুরান্ড কাপ এবং কলকতা লিগে খেলতে নামছে হয়েছে। এর মধ্যে ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশ আর্মিকে ৫-০ হারানো বাদে সেভাবে নজরকাড়া পারফরম্যান্স নেই গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের।
আইএসএল খেতাব ডিফেন্ড করা তো বটেই এবার এএফসি কাপে ভীষণ জোর দিয়েছে বাগান ম্যানেজমেন্ট। সেই কারণেই ভারত-সেরা দল গড়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আর্মান্দো সাদিকু, জেসন কামিন্স, হেক্টর ইউৎসেকে সংযোজন করা হয়েছে দলের সঙ্গে। অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সাহাল, আনোয়ার আলিদের নিয়ে গড়া বাগাব স্কোয়াড এবার টুর্নামেন্ট সেরা।
তবে এত হেভিওয়েট দল গড়েও ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি বাগান শিবির। টানা আটবার ডার্বি জয়ের পর এবার চাকা উল্টে দিয়েছে কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল। কোনওরকমে ডুরান্ডের শেষ আটে পৌঁছেছে মোহনবাগান।
এমন অবস্থায় আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে নামার আগে বাগান বস হুয়ান ফেরান্দো মঙ্গলবারের লড়াইকে ফাইনাল হিসাবে দেখছেন। জানাচ্ছেন, "আগামীকাল ম্যাচ আমাদের কাছে ফাইনাল। নিজেদের একশো শতাংশ দেব।" দলের মধ্যে সমন্বয় গড়ে না ওঠার জন্য ঠাসা ক্রীড়াসূচিকেই দায়ী করছেন তিনি, "দলের ভারসাম্যের অভাবের জন্য দায়ী পরপর ম্যাচ। প্রাক মরসুমে দল গুছিয়ে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক ম্যাচেই আমরা সেরাটা দেব। আগামীকালের ম্যাচের পর ডুরান্ড কাপের প্ল্যান করব। বেশ কিছু ফুটবলার একই সঙ্গে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ এবং এএফসি কাপে খেলছে। আপাতত আমাদের লক্ষ্য কেবল এএফসি জয়ের কথা ভাবা। তারপর ডুরান্ড নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। বাকি সিজনের কথা পরে ভাবা যাবে।"
আবাহনীকে শেষবারের সাক্ষাতে বাগান সহজে হারালেও কোচ ফেরান্দো সমীহই করছেন দলটিকে। বলছেন, "দুই দল একই জায়গায় থেকে খেলতে নামবে। শেষ ম্যাচ পুরোপুরি আলাদা ছিল। দলের কম্বিনেশনও পৃথক ছিল।"
"সবাই সেরা একাদশ নামানোর কথা ভাবছে। আগামীকাল ম্যাচ নেমে সেরা লাইনআপ তৈরির চেষ্টা করতে হবে। পুরো কখনই সন্তুষ্ট হওয়া সম্ভব নয়। সবসময়েই উন্নতির অবকাশ থাকে।"