এক গোলে পিছিয়ে থেকেও এসেছে জয়। বড় ব্যবধানে আবাহনীকে উড়িয়ে দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আর সেই জয়ের পরেই কোচ ফেরান্দো জানাচ্ছেন, দল এখনও পুরোপুরি ফিটই নয়।
টানা তিনবার এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে কোয়ালিফাই করার পর স্প্যানিশ জানাচ্ছেন, "জানি না, কটা ম্যাচ খেলার পর আমরা পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠব। দলের কাছে আপাতত একটাই টার্গেট। প্রত্যেক ম্যাচেই উন্নতি করা। আমরা এখন খুব বেশি হলে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফিট। তিনটে আলাদা আলাদা টুর্নামেন্টে (ডুরান্ড কাপ, কলকাতা লিগ এবং এএফসি কাপ) খেলতে হচ্ছে আমাদের। দলের মধ্যে কয়েকজন আবার জাতীয় দলেও অংশ নিচ্ছে। আশা করছি আমরা প্রত্যেক অনুশীলনে উন্নতি করার প্রয়াস চালিয়ে যাব। পরের ম্যাচে যখন লাইন আপ ঘোষণা করব, আশা করব আরও ফিট ফল নামাতে পারব।"
আবাহনীর বিপক্ষে ঘরের মাঠেই বাগান পিছিয়ে পড়েছিল। বিশাল কাইথের ভুলের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে গোল করে যান কর্ণেলিয়াস স্টুয়ার্ট। ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় জেসন কামিন্সের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে ঝড় তুলে আরও দুই গোল করে সবুজ মেরুন শিবির।
প্ৰথমে হুগো বুমোস আত্মঘাতী গোল করতে বাধ্য করেন আবাহনীর মিলাদ শেখকে। তারপরেই আর্মান্দো সাদিকু ৩-১ করে যান। প্রথমার্ধের শেষে ড্রেসিংরুমে কী হয়েছিল, সেটা জানিয়ে কোচ ফেরান্দো বলছেন, "বিরতির পর আমরা খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে বদল এনেছিলাম। জানতাম এই ম্যাচ কঠিন হতে চলেছে। অনেকে অনুশীলন ছাড়াই নেমেছিল। শেষ মুহূর্তেও বড়সড় সমস্যা ধরা পড়েছিল। তবে দিনের শেষে ভালোই লাগছে। কারণ ফুটবলাররা গ্রুপ পর্বে পৌঁছনোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে।"
এএফসি কাপের সাউথ জোনের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগান আপাতত ওড়িশা এফসি, বসুন্ধরা কিংস, মাজিয়ার সঙ্গে। গ্রুপ পর্ব থেকে বাজিমাত করতে কি পারবে ফেরান্দো বাহিনী, সেটাই আপাতত দেখার।